সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে খুঁজে পাওয়া গেছে এ ‘দৈত্যাকার পেঙ্গুইনের’ ফসিল। হাঁড়ের আকার দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটি প্রায় এক দশমিক ছয় মিটার বা পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা ছিল।
৬৬ থেকে ৫৬ মিলিয়ন (৫ কোটি ৬০ লাখ) বছর আগে প্যালিওসিন যুগে পৃথিবীতে এদের বিচরণ ছিল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত বছর উত্তর কেন্টারবুরিতে বিশালাকার এ পেঙ্গুইনের পায়ের একটি হাঁড়ের সন্ধান পাওয়া যায়। সেসময় থেকেই একটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল এটি নিয়ে গবেষণা করছেন।
কেন্টারবুরি জাদুঘরের সিনিয়র কিউরেটর পল স্কফিল্ড বলেন, এযাবৎ খোঁজ পাওয়া সবচেয়ে বড় পেঙ্গুইনগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
এ যুগের সবচেয়ে বড় ‘এম্পেরর পেঙ্গুইন’ লম্বায় এক দশমিক দুই মিটার বা চার ফুটের কাছাকাছি হয়ে থাকে।
ডাইনোসর বিলুপ্তির প্রায় কাছাকাছি সময় বিশালাকার সামুদ্রিক সৃরিসৃপগুলোও নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর প্রায় ৩০ মিলিয়ন (তিন কোটি) বছর ছিল দৈত্যাকার পেঙ্গুইনদের রাজত্ব।
বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, দৈত্যাকার পেঙ্গুইনদের সময় নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে যুক্ত ছিল, যার অ্যান্টার্কটিকার সঙ্গেও সংযোগ ছিল বলে ভাবা হয়।
নতুন খোঁজ পাওয়া ‘ক্রসভ্যালিয়া ওয়েপারেনসিস’ প্রজাতির এ পেঙ্গুইনের সঙ্গে প্রাগৈতিহাসিক যুগের আরেকটি দৈত্যাকার পেঙ্গুইন ‘ক্রসভ্যালিয়া ইউনিয়েনউইলিয়া’র সঙ্গে যথেষ্ট মিল আছে, যেটি অ্যান্টার্কটিকায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
স্কফিল্ডের মতে, দৈত্যাকার পেঙ্গুইনগুলোর সময় নিউজিল্যান্ডের পানিতে বিশালাকার কচ্ছপ, প্রবালকীট ও অদ্ভুতদর্শন হাঙর দেখা যেতো।
জেরাল্ড মেয়ার নামে এক গবেষক বলেন, বিশালাকার সরিসৃপ বিলুপ্ত হওয়ার পর সে জায়গা নিয়েছিল দৈত্যকার পেঙ্গুইন। সেসময় অ্যান্টাকর্টিকা ও নিউজিল্যান্ডে তাদের বড় কোনো প্রতিযোগী ছিল না, যতদিন না কয়েক লাখ বছর পর দাঁতওয়ালা তিমি ও পিন্নিপেড (সিল) এসে হাজির হয়।
ঠিক কী কারণে দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে এ প্রজাতিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তা নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, এসব সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীদের ক্রমবর্ধমান হারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরেই তারা হারিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
একে