বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের উদ্যোগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেড় ফুট লম্বা ও প্রায় ৯ কেজি ওজনের এ প্রাণীটি অবমুক্ত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের এসিএফ মো. আনিসুর রহমান, মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, লাউয়াছড়া বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট সূত্র জানায়, বনরুইটি ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে বন্যপ্রাণী পাচারচক্রের কাছ থেকে পুলিশের সাহায্যে উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট। বুধবার এটিকে লাউয়াছড়ায় ছাড়ার উদ্দেশ্যে ঢাকার আগারগাঁওয়ের বন ভবন থেকে আনা হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, লাউয়াছড়ার এ স্থানটি বনরুইদের জন্য চমৎকার জায়গা। এই পরিবেশে এরা বংশবিস্তার করতে পারবে। এটা তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আমরা অচিরেই আটক করবো।
তিনি আরও বলেন, মাছের মতো আঁশ এদের শরীরে রয়েছে বলে এর নামকরণ হয়েছে ‘বনরুই’। এরা আশযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী। বনরুই শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীতে এটি ‘মহাবিপন্ন’ একটি প্রাণী। এবছর আমরা তিনটি বনরুই পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি।
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের কাজ হলো বন্যপ্রাণীদের পালনকারী বা পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া। আমাদের প্রকৃতি থেকে শকুন হারিয়ে গেছে প্রায়। এখন আমাদের দেশে যেসব মূল্যবান প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে, আমরা চাই তাদের ধরে রাখতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
বিবিবি/এএ