হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে মাছের খামারে হানা দিয়েছিল একটি মেছো বাঘ। এলাকাবাসী টের পেয়ে মেছো বাঘটিকে আটক করেছে।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বাঘটি হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়। চিকিৎসা দিয়ে বাঘটি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হতে পারে।
বনবিভাগ জানিয়েছে, মাছের খামারটির মালিক করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসহাক মিয়া। প্রায় প্রতিদিনই বাঘটি তার খামারে এসে মাছ খেয়ে যেত। শুক্রবার দিবাগত রাতে এলাকাবাসী ঘেঁরাও দিয়ে বাঘটি আটক করে। পরে শনিবার দুপুরে বনবিভাগের লোকজন গিয়ে বাঘটিকে নিয়ে আসেন।
হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফরেস্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, মেছো বাঘটির ওজন সাত কেজি। এর বয়স আনুমানিক দেড় বছর। পায়ের নখ ও মাথায় সামান্য আঘাত রয়েছে। চিকিৎসা দিয়ে বাঘটিকে চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হতে পারে।
তিনি আরো জানান, কোনো বন্যপ্রাণী একা থাকতে পারে না। ধারণা করা হচ্ছে ওই এলাকার আশপাশের মেছো বাঘটির সঙ্গী আছে। তাই মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মাঝারি আকারের বিড়াল গোত্রীয় এক ধরনের স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী এটি। ব্রাজিল, কোস্টারিকা, বাংলাদেশ, ভারত, বলিভিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, লাউস, শ্রীলঙ্কায় এরা স্থানীয়ভাবে বাঘরোল নামে পরিচিত। এদের আবাসস্থল থাইল্যান্ড ও এল সালভাদোর। কয়েক দশকে বাঘরোলের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাই আইইউসিএন ২০০৮ সালে মেছো বাঘকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
মেছো বাঘ সাধারণত নদীর ধারে, পাহাড়ি ছড়া এবং জলাভূমিতে বাস করে। এরা সাঁতারে পারদর্শী হওয়ায় এ ধরনের পরিবেশে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে। এদের গায়ে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকার জন্য চিতাবাঘ বলেও ভুল করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
আরএ