ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

যথাসাধ্য চেষ্টা করেও বাঁচানো গেলো না বকটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
যথাসাধ্য চেষ্টা করেও বাঁচানো গেলো না বকটি

ব‌রিশাল: বরিশাল নগরের বিবির পুকুরের পূর্ব পাশকে পাখিদের অভয়ারণ্য বলা চলে। এখানে ছোট গাছে চড়ই, আর বড় গাছগুলোতে বকসহ বিভিন্ন পাখির আবাসস্থল গড়ে উঠেছে বছরের পর বছর ধরে।

জনবহুল জায়গা হলেও বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সংবাদকর্মীরা ও নগর ভবন কর্তৃপক্ষের কারণে পাখিগুলো নিরাপদেই বসবাস করছে এখানে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই পাখিদের ঝাঁক থেকে একটি সাদ বক হঠাৎ করেই গাছের ডালে থাকা ঘুড়ির সুতোয় পেচিয়ে পড়ে।

দৃশ্যটি দেখে স্থানীয় সাংবাদকর্মীরা ফায়ার সার্ভিসের বরিশাল সদর স্টেশনের সদস্যদের খবর দেন। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে আসে এবং উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। আধঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় পাখিটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হলেও পাখিটি তখন মৃতপ্রায়। উদ্ধারের কিছু সময় পরে তার মৃত্যু অভিযানিক দলসহ উপস্থিত সবাইকে শোকার্ত করে তোলে।

স্থানীয়রা জানান, বড় ল্যাডার না থাকায় বকটিকে নামানোর কাজ করতে হিমশিম খেতে হয় অভিযানিক দলকে। উঁচু গাছ থেকে বকটি নামাতে ২০/২৫ ফুট উচ্চতার বাঁশ ব্যবহার করা হয়। যখন বকটিকে নামানো হয়, তখন বকটি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

অভিযানিক দলের সদস্য নাসির দ্রুত বকটিকে মুখ দিয়ে কৃত্তিম শ্বাস দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। বেশ কয়েকবার শ্বাস দিলেও আস্তে আস্তে পাখিটির চোখ বুজে আসে এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নাসিরসহ পাঁচ সদস্যের আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থতায় পরিণত হয়।

ফায়ার সার্ভিসের বরিশাল সদর স্টেশানের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. হাসান আলী জানান, পাখিটির মৃত্যু আমাদের সবার জন্য দুঃখজনক। বড় ল্যাডার থাকলে পাখিটি উদ্ধারের কাজটি দ্রুত ও সহজে করা যেত। পাখিটির গলা সুতোর সাথে যেভাবে ফেঁসে গেছে এবং পাখিটি আত্মরক্ষার চেষ্টায় নড়াচড়া করে আরো বিপদে ফেলে দিয়েছে নিজেকে। তাই উদ্ধারের পর পাখিটিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।

হাজার হাজার পাখির কলরবে বিবির পুকুরের পূর্ব পাড় একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। এই এলাকাটিকে পাখিদের অভয়াণ্য হিসেবে সংরক্ষণ করা জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।