মৌলভীবাজার: আগের মতোই মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বন্যপ্রাণীর। খাদ্য সংকটে পড়ে মানুষের কাছাকাছি এলেই মানুষ আর তাকে অক্ষত রাখে না।
সম্প্রতি বিপন্ন প্রজাতির একটি বনবিড়াল পিটিয়ে হত্যা করেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বড়চেগ গ্রামের মোস্তফা ও পিংকু মিয়া। পরদিন মৃত বিড়ালটির একটি ছবি নিজের ফেসবুকে আইডিতে পোস্ট দিয়ে তার প্রচার করেন মো. মোস্তফা।
এই নৃশংস বিষয়টি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের নজরে আসে। তারপর বনবিড়াল হত্যার ঘটনায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। মামলার আসামিরা হলেন-কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের মো. মোস্তফা ও পিংকু মিয়া।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার মিত্র।
তিনি বলেন, এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে বিপন্ন প্রজাতির একটি বনবিড়ালকে পিটিয়ে হত্যা করেন বড়চেগ গ্রামের মোস্তফা ও পিংকু মিয়া। পরদিন মৃত বিড়ালটির একটি ছবি নিজের ফেসবুকে আইডিতে দেন মোস্তফা।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এরা কারও ক্ষতি করলে আমরা তার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করে থাকি। বনবিড়ালটিকে হত্যা করে তারা অপরাধ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
বিবিবি/এএটি