ঢাকা: দেশের বাইরে ছুটি কাটাতে যাবেন? পাসপোর্ট, ভিসা, টিকেট, হোটেল বুকিং সবই ঠিক আছে, কিন্তু আরও একটি বিষয় মাথায় নিয়ে নিন। যাতে আপনার ভ্রু কুঁচকে চুলের সাথে পাক লেগে যেতে পারে!
বিষয়টির ভদ্রস্থ নাম ‘অপ্রদর্শিত খরচ’ (হিডেন ফি)।
আপনার হয়তো সীমিত আয়। দেশ ছাড়ার আগে মেপে-ঝুপে এসেছেন কোন খাতে কত খরচ। আর দেশের বাইরে পা ফেলা মানেই তো, এক ডলার বেঁচে গেলেও অনেক টাকা। তাই হিসেবের বাইরে বাড়তি যে কোনো খরচ আপনার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে!
যাই হোক মূল কথায় আসি। তা কীভাবে আসে এই অপ্রদর্শিত খরচ? জেনে নিন, দেশের বাইরে মোটামুটি যে কোনো ভদ্রস্থ হোটেলের খাতায় নাম লেখালে ‘অভ্যর্থনা পানীয়’ বাবদ আপনার গচ্চা যাবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। এরপর মালপত্র টেনে দেওয়া বাবদ প্রায় হাজার খানেক এবং ইন্টারনেট ও সংবাদপত্র বাবদ হাজার দেড়েক টাকা।
আর এই অপ্রদর্শিত খরচ থেকে একটি হোটেল বছরে কত টাকা আয় করে সে বিষয়ে আপনার কোনো ধারণা আছে? চোখ মাথায় তুলে লাভ নেই, বরং জেনে নিন, দেশি টাকায় অংকটা ১৮শ’ কোটি টাকা!
হিসাবটি যুক্তরাষ্ট্রের হোটেলগুলো থেকে পাওয়া।
গত একবছর ধরে তারা মূল খরচের ছয় শতাংশ অপ্রদর্শিত খরচ হিসেবে নেয়। গত একদশক এই খরচটাই হোটেলগুলো দ্বিগুন করে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বাকি বিশ্বে এর খুব একটা ঊনিশ-বিশ হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপার আলাদা। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তারা সেবামূলক কক্ষগুলোতে মাত্র দুই শতাংশ অপ্রদর্শিত খরচ নিয়ে থাকে।
আবার হোটেলেই ফিরে আসি। অপ্রদর্শিত খরচের পাশাপাশি কিছু প্রদর্শিত খরচও আছে। যেমন, ছোটখাটো রেফ্রিজারেটর রাখলে আলাদা করে দিতে হবে প্রায় তিন হাজর টাকা। সাথে সফট ড্রিংকস, চকলেট বা কেক নিলেও টাকা গুনতে হবে আপনার।
তবে প্রদর্শিত খরচ এড়ানোর একটা সুযোগ ও অধিকার তো আপনার আছেই।
যাই হোক, ভ্রমণ শুভ হোক। শুধু অপ্রদর্শিত আয় নামক জুজুটির কথা মাথায় রাখলেই হলো!
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৪