ঢাকা: ছবি তো দূরে থাক, নিজের চোখে দেখলেও আপনার বিশ্বাস হতে চাইবে না! একবার নয়ন জুড়ানো এই শ্বেতমন্দিরের দিকে, একবার নিজের গায়ে চিমটি কেটে হয়তো বলবেন- ঠিক দেখছি তো!
বলছি, থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ‘ওয়াট রং খুন’ মন্দিরের কথা। শ্বেতমন্দির নামেই এটি বেশি পরিচিত।
বৌদ্ধ মন্দিরটি দেখে আপনার মনে হবে, স্বর্গের বর্ণনা এতোদিন যা পড়েছেন, তার কিছু অংশের দেখা পাওয়া গেলো বাস্তবে!
মন্দিরটি ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণার একটি উপকরণ হলেও, এটি বানিয়েছেন একজন মানব সন্তান। ১৯৯৭ সালে চালার্মচাই কোসিতপিপাত নামে এক শিল্পী এর নকশা করেন।
চলতি বছরের মে মাসে ভূমিকম্পে মন্দিরটি প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু কোসিতপিপাত পুনরায় এর স্বরূপে ফিরিয়ে আনেন।
তবে এখনও কিছু ফাটলের কাজ সারা বাকি আছে। তবুও দর্শনার্থীরা বাইরে থেকে মন্দিরের ছবি তুলতে পারবেন বলে অনুমতি আছে কর্তৃপক্ষের।
আপাতত বরং ছবিতেই দেখে নিন। আবারও বলছি, বিশ্বাস রাখুন, ছবির চেয়েও মন্দিরটি বাস্তবে আরও সুন্দর!
মর্মর পাথরের মূর্তিগুলো দেখলে মনে হবে যেন সত্যি সত্যি স্বর্গের পরী নেমে এসেছে মাটিতে।
কোনো ছবিতে ধ্যান করছেন স্বয়ং বুদ্ধ। যেকোনো মূহুর্তে যেন হাত তুলে বলবে, নিজের আলোয় আলোকিত হও।
অথবা কারুকার্যময় দুর্লভ শ্বেতহস্তী। শুঁড় তুলে চেয়ে আছে দিগন্তের পানে।
দেরি না করে বরং নিজ চোখে দেখে আসুন। ঘুরে আসুন শ্বেতহস্তীর দেশ থাইল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৪