ঢাকা: শিল্পীর ছোঁয়া যেখানে পড়ে সেটাই জীবন্ত আর সুন্দর হয়ে ওঠে। তা সে ছাইগাদা হোক কিংবা নিরস ইট-কাঠ-পাথর।
স্থপতিরাও শিল্পী। নজরকাড়া নকশায় ফুটিয়ে তোলেন তাদের স্থাপত্যকর্ম। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে তাদের সৃজনশীল কাজের নমুনা।
দেখে নেওয়া যাক তাদের জাদুকরী স্পর্শে সাধারণ ঘরবাড়ি কেমন বিস্ময়ের জন্ম দেয়।
এরকম ভুবনভোলানো সৃজনশীল ভবনের দ্বিতীয় পর্বে থাকছে পাঁচটি ভবন নিয়ে আয়োজন।
ভ্যালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট
অত্যাধুনিক ভ্যালবার্ড গ্লোবাল সিড ভল্ট শুধু সুন্দরই নয়, তার চেয়েও বেশিকিছু। একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে ভবনটি তৈরি করা হয়। সিড ভল্টটি নরওয়ের লংইয়ারবায়েন শহরে অবস্থিত। নরওয়ে ছাড়াও সারা বিশ্বের দুর্লভ সব শস্য আর গাছের বীজ এখানে সংরক্ষণ করা হয়।
দ্য রিয়ংইয়ং হোটেল
উত্তর কোরিয়ার রিয়ংইয়ং হোটেল সেদেশের সরকারের ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। অনেকটা দেশের জনগণ ও পর্যটকদের জন্য একটি শুভেচ্ছা বার্তা। তবে গত ২৫ ধরে ভবনটির কাজ চললেও, এখন পর্যন্ত এটি অসমাপ্তই থেকে গেছে।
দ্য কুগেলমুগেল হাউজ
ভবনটি ‘দ্য রিপাবলিক অব কুগেলমুগেল’ নামেও পরিচিত। ১৯৮৪ সালে অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট এডউইন লিপবার্গার এটি নির্মাণ করেন।
দ্য সেভেন-স্টোরি ট্রিহাউজ
ক্যালিফোর্নিয়ার সেভেন-স্টোরি ট্রিহাউজ দেখে মনে হবে বাচ্চাদের কোনো বই। একটি বার ও ক্যাফেসহ নজরকাড়া ভবনটি ব্রাভো ফার্মসের সম্পত্তি।
দ্য ক্রুকড হাউজ
মাথা ঘুরিয়ে দেয়া পোল্যান্ডের ক্রুকড হাউজ আসলে কোনো বাড়ি নয়, এটি একটি শপিং সেন্টার। বাচ্চাদের বইয়ে আঁকা এক চিত্রশিল্পীর ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবনটি তৈরি করা হয়। উদ্ভট এই নকশার কারণেই পর্যটকদের আকর্ষণ করে ক্রুকড হাউজ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৪