ঢাকা: ৭২ বছরের এক রহস্যময় ব্যক্তি। গত ৩৩ বছর ধরে চার বেডরুমের একটি বাড়িতে থাকেন একা।
বাড়িময় ছড়ানো হাজারটা জিনিসের স্তূপ। ঠিকমতো পা রাখার জায়গা নেই, তারপরও একটি সুতো তিনি বাড়ি থেকে বের করেন নি!
শুনতে অবিশ্বাস্য ঠেকে, কিন্তু এতগুলো বছর ঠিক এভাবেই জীবনযাপন করেছেন তিনি। এটা কি ধরনের খ্যাপামো, সেও এক বিস্ময়।
প্রতিবেশীরা বাড়ির নাম দিয়েছেন ‘জর্জস্ প্লেস’ বা জর্জের বাড়ি। কারণ ভদ্রলোকের নাম জর্জ ফওলার। তার এই ‘আবর্জনাময়’ বাড়িটি লন্ডনে।
করিনা কার্ন নামে এক আলোকচিত্রী গত এক বছর জর্জের পেছনে ব্যয় করেছেন। জর্জের এই অদ্ভুত জীবন নিয়ে বানিয়েছেন একটি বিশেষ তথ্যচিত্র।
একটি সিরিজ ছবিতে তিনি ফ্রেমবন্দি করেছেন জর্জের গল্প। বলা ভালো, জর্জের জীবনযাপনের টুকরো টুকরো ছবি।
কার্নের কাছে শোনা যাক প্রথমবার জর্জের বাড়ি যাওয়ার অভিজ্ঞতা, আমি খেয়াল করলাম জিনিসপত্র জমানোর ব্যাপারটা তার ভেতর ভয়ঙ্করভাবে গেঁথে গেছে। পুরো বাড়িতে সামান্যটুকু জায়গাও বেঁচে নেই!
জর্জ অবশ্য এটাকে দেখছে ‘একটি জমা রাখার রোগ’ হিসেবে। এক বছর দেখার অভিজ্ঞতা থেকে আলোকচিত্রী কার্নেরও একই মত, জর্জ আসলে একজন দুর্লভ প্রজাতির মানসিক রোগী। শুরুতে ব্যাপারটা রোমান্টিক ফ্যান্টাসির ভেতর থাকলেও, আস্তে আস্তে অভ্যাস থেকে তা মানসিক রোগে পরিণত হয়।
কারণ হিসেবে একটি যৌক্তিক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কার্ন। বলছেন, জর্জের জীবনযাপন হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সমাজ কাঠামোর একটি খণ্ডিত চিত্র। যেখানে বিপুল উৎপাদন এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় যেন আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৪