ঢাকা: ঘরগুলো সব পাহাড় কেটে বানানো। বেশ নির্জন, সাদামাটা।
বলছি তিউনিশিয়ার অনেকটা ‘আধুনিক’ গুহাবাসী মানুষদের কথা। দেশটির নেসল্যান্ডের পাহাড়ের গহ্বরে বাসবাস করেন প্রায় দু’হাজার মানুষ।
আদিমভাবে বসবাস করলেও বেশ জাঁকজমকপূর্ণ তাদের ঘরগুলো।
স্থানীয়ভাবে এ গুহাঘরগুলোকে মাটমাটা বলা হয়। পাথুরে পাহাড় খনন করে গর্তগুলো করা হয়।
পাথরে গা চেঁছে সমান করে, কোথাও খাঁজ কেটে তবেই ঘরগুলো বানানো হয়। এভাবে পাশাপাশি কয়েকটি ঘর তৈরি করে ব্যবস্থা করা হয় নির্জন বসবাসের।
শহরটি প্রথমে গড়ে ওঠে রোমান ও মিশরীয় সৈন্যদের গণহত্যা এড়ানোর জন্য। অন্য এলাকা ছেড়ে নিরপত্তার জন্য পাহাড়ের গায়ে এ গুহাঘরে জাড়ো হতে থাকেন অধিবাসীরা। এ ঘটনা বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের।
এটা এখনো একটি কার্যকরী শহর। এখানকার অধিকাংশ পুরুষ কাজ করেন পার্শ্ববর্তী এলাকার জলপাই বাগানে।
পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র এখন মাটমাটা। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অধিবাসীদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য পর্যটকদের নজর কাড়ে।
তবে এই জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে বসবাস করা বেশ কষ্টসাধ্য। এখানকার প্রাণী, পারিবারিক কাঠামো, সংস্কৃতি সবই অন্য জাতিগোষ্ঠী থেকে আলাদা।
তিউনিশিয়ার এই অংশটি গ্রীষ্মে খুব বেশি গরম থাকে। কিন্তু আধুনিক সুবিধা ও পুরনো সৌন্দর্যের শহর মাটমাটা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
আপনি যদি পৃথিবীর একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান তাহলে তিউনিশিয়ার মাটমাটা ভ্রমণ করুন, অভিজ্ঞতা নিন দারুণ সব স্থাপত্যকর্ম, সৃষ্টিশীল ঘর এবং বন্ধুভাবাপন্ন সংস্কৃতির।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪