ঢাকা: ভ্যাম্পায়ার আছে কি নেই, তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে তাদের অস্বাভাবিক আচার-আচরণ আর মানুষের রক্ত খাওয়ার প্রচুর গল্প প্রচলিত রয়েছে।
সম্প্রতি বুলগেরিয়ায় একটি কবর খুঁড়ে ‘ভ্যাম্পায়ার’ খুঁজে পেলেন একদল প্রত্নতাত্ত্বিক। বলা ভালো, ভ্যাম্পায়ারের দেহাবশেষ।
কবর খুঁড়ে দেখা যায়, দেহাবশেষের বুকে একটি কাঠের খুঁটি পোঁতা। প্রচলিত আছে, ভ্যাম্পায়ারদের হত্যা করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো এটি। অর্থাৎ এভাবে বুকে খুঁটি গেড়ে তাদের মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হতো।
দক্ষিণ বুলগেরিয়ার পারপেরিকন রুইনস অঞ্চলে বর্তমানে খোঁড়াখুঁড়িতে নিযুক্ত রয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিক অধ্যাপক নিকোলাই অবচারোভ ও তার দল। তিনিই কবরটির সন্ধান পান।
এ বিষয়ে শোনা যাক তার মুখেই, আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে, একসময় ভ্যাম্পায়ার তাড়াতে শাস্ত্রীয় আচারানুষ্ঠান ছিল। সাধারণত যারা অপঘাতে যেমন আত্মহত্যা করে মারা যেত, তাদের উপর এসব প্রয়োগ করা হতো।
এটাও ঠিক, ১৩শ’ শতকের দিকে এভাবে বুকে খুঁটি পুঁতে মানুষকে কবর দেওয়ার রীতি ছিল, যোগ করেন অধ্যাপক।
কোনো এক অজানা কারণে ভ্যাম্পায়ার তথা দেহাবশেষটির বাম পা পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৪