একতলা গির্জার মূল প্রার্থনাকক্ষটির আয়তন প্রায় ৫০ ফুট। এ কাঠামোর প্রধান প্রকৌশলী ফ্রেডেরিক ডগলাস।
চল্লিশটি খিলানের উপরে এ গির্জাটি দাঁড়িয়ে। ৩৫ একর জমির উপরে উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা। তেরটি ছোট-বড় পুকুর, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আবাসিক ছাত্র হোস্টেল, ফাদার ও সিস্টারদের আবাসন, পাঠাগার ও হাসপাতাল নিয়ে এ চার্চটি অবস্থিত। দিনে সাত বার এশিয়ার সবচে বড় ঘণ্টা এ চার্চেই বেজে ওঠে। সুদৃশ্য ঘণ্টার নিচেই চার্চের ছোট্ট অফিস।
১৯০৩ সালে এ চার্চের প্রথম ধাপের কাজ সম্পন্ন হয় ও একই বছর ২৬ জানুয়ারি এটি উদ্বোধন করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের কাজ ১৯০৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। লাল ইট দিয়ে নির্মিত শতবর্ষী এ চার্চ চমৎকার রক্ষণাবেক্ষণের সুবাদে ঝকঝকে ও সুদৃশ্য। তবে জনসাধারণের জন্য এখানে প্রবেশ সংক্রান্ত জটিলতা আছে।
গির্জাটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এর স্থাপত্যশৈলী বিনষ্ট না হয়। ১৯৬০ ও ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়েও গির্জাটি সম্পূর্ণ অক্ষত থেকে যায়।
চার্চের কেয়ারটেকার জানালেন, নিজস্ব সম্প্রদায়ের মানুষ ব্যতীত জনসাধারণের জন্য চার্চের সীমানার ভেতর প্রবেশ নিষেধ। এদেশের বর্তমান সময়ের ঝুঁকিপূর্ণ ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক পরিবেশে নিরাপত্তাজনিত হুমকির আশঙ্কায় রয়েছেন চার্চ সংশ্লিষ্টরা। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ায় চার্চের অভ্যন্তরের ছবি না তোলার শর্তে পনের মিনিটের জন্য ঘুরে দেখার সুযোগ পাওয়া গেল।
যেভাবে যাবেন
বরিশাল শহরে একাধিক গির্জা থাকায়, শুধু অক্সফোর্ড মিশন চার্চের কথা জিজ্ঞাসা করলে স্থানীয় রিকশাওলা বা অটোরিকশা চালকেরা নাও চিনতে পারেন। তবে বগুড়া রোড বললে সবাই চিনবে। এ রোডে অবস্থিত বরিশাল গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুল থেকে পশ্চিম দিকে অল্প একটু এগোলেই অক্সফোর্ড মিশনারি চার্চের প্রবেশ পথ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
এনএইচটি/জেএম