সেই সময় মুক্তাগাছা শহরসহ আশপাশে এলাকা জলাভূমি ও অরণ্য সবুজে ঘেরা ও নিরিবিলি থাকায় এখানেই জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরী বসবাস করার জন্যে মনস্থির করেন।
ছবিতে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি
মূল ফটকের ভেতরে ঢুকলেই প্রথমে সামনের এই ভবনটি জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরী ও রাজ পরিবারের ভোগঘরের ( খাবারের ঘর ) জন্য তৈরি করা হয়।

ছবিতে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি
বর্তমানে নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে। ভোগঘরের সামনে দিয়ে বামে ছোট একটি গেট। সেখান দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই চোখে পরবে বড় একটি খালি জায়গা।
ছবিতে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি
তাও আবার ওপরে টিন দিয়ে ঘেড়াও করে চাল দেওয়া। পরে জানা গেল, এই জায়গাটিতেই ছিল জমিদারের ঘূর্ণায়মান নাট্যমঞ্চ। এখানেই তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপভোগ করতো। বর্তমানে সংস্কার কাজের জন্য এলোমেলো হয়ে আছে। নাট্যমঞ্চের দক্ষিণ দিকে খুব সুন্দর করে তৈরি করা হয় দুর্গা মন্দির। যা দেখতে অনেকটা মহলের মতো মনে হয়। দুর্গা মন্দিরের পাশেই রয়েছে কালি মন্দির।
ছবিতে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি
মন্দির পার হয়ে ভেতরে যেতেই দেখা যায়, রাজ বংশীয়দের সিন্দুক।
ছবিতে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি
যেখানে তারা তাদের সব মূল্যবান জিনিষপত্র রাখতেন। যা আগের মতোই আছে।
ছবিতে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি
এই হচ্ছে জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর হাওয়া ভবন। যেখানে তিনি নিজেই থাকতেন বলে জানিয়েছেন গার্ড প্রধান শাহ আলম। বাড়িটি সম্পূর্ণ কাঠ, লোহা ও সিট দিয়ে তৈরি। দোচালা ভবনটির বিশেষত্ব হচ্ছে, সব সময়ই বাড়িটি ঠান্ডা থাকে। এই বাড়িটি দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে পর্যটকরা এসে ভিড় জমায়।
ছবিতে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি
হাওয়া ভবনের পাশেই রয়েছে আরেকটি দোচালা ঘর। যা তৈরি করা হয় জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য চৌধুরীর মায়ের জন্য। তবে সঠিক তথ্যটি জানার জন্য গার্ডকে জিজ্ঞাসা করলে সে বাংলানিউজকে জানায়, ঘরটি গেস্টরুম হিসাবে ব্যবহার করা হতো।
ছবিতে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি
হাওয়া ভবনের ঠিক পেছনেই রয়েছে রান্না ঘর। এখানেই রান্না করা হতো রাজ পরিবারের জন্য।
ছবিতে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়ি
রান্নাঘরের পেছনেই রয়েছে রাজ বংশীয়দের শৌচাগার। জমিদার বাড়িটি বর্তমানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে সংস্কারের কাজ চলছে।বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এএটি/এমএইউ/