ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

হোয়াইট হাউসের ১০ জানা-অজানা

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
হোয়াইট হাউসের ১০ জানা-অজানা হোয়াইট হাউসের ১০ জানা-অজানা

ঢাকা: প্রায় সবার জানা যে— যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবনের নাম হোয়াইট হাউস। কিন্তু জানেন কি, এই প্রাসাদের নাম শুরুতে হোয়াইট হাউস ছিল না। এমনকি শুরুতে এর রঙও ছিল ভিন্ন। আসুন জেনে নিই হোয়াইট হাউস সম্পর্কে এমন কিছু মজার তথ্য।

১. যুক্তরাষ্ট্রের জাতির জনক ও প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন কখনোই হোয়াইট হাউসে থাকার সুযোগ পাননি। অথচ ১৭৯১ সালে তিনিই হোয়াইট হাউসের মূল নকশা অনুমোদন করেন।

১৭৯২ সালের অক্টোবরে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ১৭৯৭ সালে প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটনের মেয়াদ শেষ হয়। তিনি মারা যান ১৭৯৯ সালে। ১৮০০ সালে হোয়াইট হাউসের নির্মাণ কাজ মোটামুটি শেষ পর্যায়ে থাকার সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস সপরিবারে এতে বসবাস শুরু করেন।  

২. ১৮১৪ সালে ব্রিটিশ সৈন্যরা হোয়াইট হাউসে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে ভবনের অভ্যন্তরের অংশ ও ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এর পুনর্নির্মাণ আরম্ভ হয়।

৩. ১৯০১ সালের আগ পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের কোনো দাপ্তরিক নাম ছিল না। বিভিন্ন সময়ে একে বিভিন্ন নামে ডাকা হতো। সাধারণত এক্সিকিউটিভ ম্যানশন এবং প্রেসিডেন্ট প্যালেস নামে ডাকা হতো। ১৯০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ২৬তম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউস নামকরণ করেন।

৪. প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান হোয়াইট হাউসের নাম দিয়েছিলেন ‘ঝলমলে বন্দিশালা’। আরেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান এ ভবনকে আট তারকা হোটেলের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।  

৫. হোয়াইট হাউসের প্রধান বাসিন্দা মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার পরিবার। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, তারা এখানে বিনামূল্যে খাবার পান না। তাদের খাবারের বিল মাস শেষে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি টুথপেস্ট কেনা, কাপড় ইস্ত্রি করা ইত্যাদির খরচও নিজেদের বহন করতে হয়।

৬. নারীদের ভোটাধিকারের দাবিতে ১৯১৭ সালের জানুয়ারিতে একদল নারী হোয়াইট হাউসের গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা টানা দুই বছর সেখানে অবস্থান করে। অবশেষে ১৯১৯ সালের ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন নারীদের ভোটাধিকার দেয়।

৭. হোয়াইট হাউস নিয়ে কিছু ভৌতিক কাহিনী প্রচলিত আছে। বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল একবার হোয়াইট হাউসের লিংকন বেডরুমে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের নগ্ন ভূত দেখতে পেয়েছিলেন। পরদিন তিনি দ্বিতীয়বার ওই রুমে থাকতে অস্বীকার করেন। হোয়াইট হাউসের কর্মীদের ‘বদৌলতে’ এ গল্পের আরও অনেক শাখা-উপশাখা শুনতে পাওয়া যায়।

৮. হোয়াইট হাউস রঙ করতে ৫৭০ গ্যালন সাদা রঙ ব্যবহার করা হয়।  

৯. হোয়াইট হাউসে তিন হাজারেরও বেশি লোক পূর্ণকালীন চাকরি করেন।  

১০. হোয়াইট হাউস নির্মাণে সেসময় ব্যয় হয়েছিল ২ লাখ ৩২ হাজার ৩৭২ ডলার। আর বর্তমানে এ ভবনের মূল্য দাঁড়াবে ৩৮৯ মিলিয়ন ডলার (প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা)।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এনএইচটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।