ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

উন্নত নগরীর জন্য ‘ওয়ার্ল্ড কার ফ্রি ফুটবল টুর্নামেন্ট’

স্টাফ রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৮
উন্নত নগরীর জন্য ‘ওয়ার্ল্ড কার ফ্রি ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ‘ওয়ার্ল্ড কার ফ্রি ফুটবল টুর্নামেন্ট’/ ছবি: হোসাইন মোহাম্মদ সাগর

ঢাকা: জাপানের কাছে ৩-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো ব্রাজিল। আর আর্জেন্টিনা-জার্মানির সঙ্গে ড্র করলো ১-১ গোলে। না, না! বিশ্বকাপ নয়, বলছিলাম ‘ওয়ার্ল্ড কার ফ্রি ফুটবল টুর্নামেন্টে’র কথা।

বর্তমানে ঢাকা শহরে বিনোদনের পর্যাপ্ত জায়গা নেই বললেই চলে। মানুষ ঘুরে বেড়াতে চাই স্বাচ্ছন্দ্যে।

কিন্তু শহরজুড়ে শুধু বড় বড় দালান-কোঠা আর দীর্ঘ যানজট। এ দুর্বিসহ জীবন থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হতে পারে ‘গাড়ি মুক্ত শহর’। সে বার্তা পৌঁছে দিতেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘ওয়ার্ল্ড কার ফ্রি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৮’।

শুক্রবার (৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ ফুটবল খেলার আয়োজন। এতে অংশ নেন বিশ্বকাপ খেলুড়ে বিভিন্ন দল, যারা প্রতিনিয়তই গাড়ি মুক্ত শহর পালনে এগিয়ে থাকে।

‘ওয়ার্ল্ড কার ফ্রি ফুটবল টুর্নামেন্টে’র আয়োজন করে ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’। এতে সরকারি ও বেসরকারি ৫৮টি সংস্থাসহ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি সহযোগিতা করে।

নগরবাসীকে একটি উন্নত নগরীর জন্য বার্তা পৌঁছে দেওয়া এ টুর্নামেন্টের মূল উদ্দেশ্য বলে জানান আয়োজক সংস্থার প্রধান মারুফ হাসান।  ‘ওয়ার্ল্ড কার ফ্রি ফুটবল টুর্নামেন্ট’/ ছবি: হোসাইন মোহাম্মদ সাগরমারুফ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সবসময়ই একটি সুন্দর শহর চাই। তবে আমাদের প্রাইভেট কারগুলোর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি আমাদের শহরে যানজট বাড়ছে। কিন্তু আমরা এর পরিবর্তে বাস ও মেট্রোরেল অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারি। আমরা চাই আমাদের প্রজন্ম একটু খেলাধূলার জায়গা পাক। সেগুলো যেনো আমাদের নগরজীবনের ভিড়ে হারিয়ে না যায়!

সকাল থেকে টুর্নামেন্টে উপস্থিতি ছিল সাধারণ মানুষ আর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবার সঙ্গে তারাও নগরবাসীকে একই বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে।

এ প্রসঙ্গে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রাফিজা খানম বাংলানিউজকে বলেন, শহরে গাড়ি কমলে যানজট ও দূষণ কমবে। অনেক বিনোদনের জায়গা তৈরি হবে এবং আরো বেশি মানুষ এ বিনোদনের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

ধানমন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্বকাপে একদিন বাংলাদেশও খেলবে। তবে তার জন্য তো এখন থেকেই প্যাকটিস করতে হবে। আমাদের মতো শহুরে শিক্ষার্থীরা তো রাস্তা ছাড়া আর অন্য কোথাও খেলার জায়গা পায় না। তাই আমারা চাই, শহরে গাড়ি কমুক। এতে যেমন যানজট কমবে, তেমনি রাস্তাগুলোও বিনোদনের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৮
এইচএমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।