ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্বের প্রাচীনতম উপাসনালয় গোবেকলি তেপে

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
বিশ্বের প্রাচীনতম উপাসনালয় গোবেকলি তেপে বিশ্বের প্রাচীনতম উপাসনালয়ের সন্ধান

তুরস্কের শানলিউর্ফা শহরের ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এক পাহাড়ের চূড়ায় আবিষ্কৃত গোবেক্‌লি তেপে সম্প্রতি স্থান করে নিয়েছে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায়। এই স্থাপনাটি এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে প্রাচীন মানবনির্মিত উপাসনালয়। 

ধারণা করা হয়, প্রায় ১২ হাজার বছর আগে একদল শিকারি সম্প্রদায় এই উপাসনালয়টি নির্মাণ করে। তখন এ অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি ছিল কৃষিবান্ধব।

তাই আফ্রিকা ও পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের শিকারিরা বসবাসের জন্য তুর্কিকে বেছে নিয়েছিল। তুর্কি ভাষায় গোবেকলি তেপে অর্থ ‘উদর বিশিষ্ট পাহাড়’। নব্যপ্রস্তর যুগের এ স্থাপনাটি ওই যুগ সম্পর্কে মানুষের ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে।

অবাক করা প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের মধ্যে গোবেকলি তেপে অন্যতম। ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বে এর গুরুত্বও অনেক। এরপরেও এই স্থাপনাটি সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। আরও অনেক বিস্ময়কর স্থাপনা যেমন- মিশরের পিরামিড, স্টোন হেঞ্জ বা চীনের প্রাচীরের মতো খ্যাতিও নেই বিশ্বের প্রাচীনতম এ উপাসনালয়টির।

বিশ্বের প্রাচীনতম উপাসনালয়ের সন্ধান

তাই বিশ্বের কাছে গোবেক্‌লি তেপের পরিচিতি, ইতিহাস ও গুরুত্ব তুলে ধরতে টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ করছেন তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন সার্জন ও লেখক মেহমেত অজ।  প্রাচীন এই স্থাপনাটিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে বর্তমানে তুরস্কে অবস্থান করছেন অজ। ঘুরে ফিরে ভালোমতো দেখে নিচ্ছেন গোবেকলি তেপের প্রতিটি কোণা।

সংবাদমাধ্যমকে অজ বলেন, আমি চাই গোবেকলি তেপের গুরুত্ব গোটা বিশ্ব জানুক। আমরা যদি প্রাচীন এ স্থাপনাটির তাৎপর্য বুঝতে পারি, তবে আমরা ভবিষ্যৎ পাল্টে দিতে পারবো। বর্তমানে আমরা কেউ কারো চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলি না। প্রযুক্তি আমাদের যোগাযোগকে পাল্টে দিয়েছে। একে-অপরের প্রতি বিশ্বাস কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ১০ হাজার বছর আগে যারা প্রথম মূর্তি নির্মাণ শুরু করেছিল, তারা মানবতার সূচনা করেছিল, একে-অপরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে শিখেছিল।

বিশ্বের প্রাচীনতম উপাসনালয়ের সন্ধান

‘যারা এই স্থাপনাটি নির্মাণ করে তারা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিল। তারা বিশ্বাস করতো, ঈশ্বরের দেখা পেলে দুনিয়াটাকে পাল্টে ফেলতে পারবে তারা। আর এই বিশ্বাস থেকেই মানুষ একত্রিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়া শুরু করে। ওই সময় মানুষ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ও বিশ্বাস স্থাপন করে। মানবসভ্যতার শুরুটা এখানেই। ’ 

কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির মেহমেত অজ টাইম ম্যাগাজিনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির একজন। প্রায় শতাধিক রাষ্ট্রে সম্প্রচারিত টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘দ্য ডক্টর অজ শো’র জন্য তিনি বিখ্যাত। একইসঙ্গে তার লেখা ছয়টি বই নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।