হেব্রাইডস দ্বীপ, স্কটল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
স্কটল্যান্ড মানেই চোখে ভাসে সাদা জলরাশি, নীল আকাশ, দুর্গ আর পাহাড়। স্কটল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূল বরাবর ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দ্বীপপুঞ্জটি।
সেখানকার বাসিন্দার সঙ্গে মূল ভূ-খণ্ডের বাসিন্দাদের জীবনযাপনের বেশ পার্থক্য রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে। জীবনধারণের জন্য তারা মূলত ফিশিং ও পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। হেব্রাইডস দ্বীপে ছড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন সব দুর্গ। এই দ্বীপকে সাহিত্য ও সুরের নগরীও বলা হয়। নামকরা সব মিউজিশিয়ান ও সাহিত্যিকরা এখানে বেড়ে উঠেছেন।
প্রতি বছর লাখও পর্যটক সেখানে ঘুরতে যান। ২০১৯ সালে ভ্রমণের জন্য আপনার লিস্টে থাকতে পারে স্কটল্যান্ডের হেব্রাইডস দ্বীপপুঞ্জ। এই দ্বীপে বেড়াতে গেলে ফেরিতে ঘুরতে ভুলবেন না যেন।
নিউ ইয়র্ক সিটি
উত্তর-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্দর নগরী নিউ ইয়র্ক সিটি। এই শহরকে বলা হয় ‘রাতজাগা শহর’। বর্তমানে নিউ ইয়র্ক সিটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা কেন্দ্রগুলির একটি।
নিউ ইয়র্ক রাজ্যের রাজধানী নিউ ইয়র্ক সিটি। সেখানে ঘুরতে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ কোটি পর্যটক যান। পৃথিবীর ‘সাংস্কৃতিক রাজধানী’ নিউ ইয়র্ক সিটির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’৷ শুধু ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ দর্শন করতেই সেখানে বছরে প্রায় দুই কোটি দর্শনার্থী যান৷
নিউ ইয়র্ক সিটির অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক, বর্ণিল নিয়ন আলোয় সাজানো টাইমস স্কোয়ার চত্ত্বর ও তার সংলগ্ন ব্রডওয়ে মঞ্চপাড়া, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিল্পকলা জাদুঘর মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট, গুগেনহাইম জাদুঘর, আধুনিক শিল্পকলা জাদুঘর মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট, টেলিভিশন স্টুডিও ভবন রকাফেলার সেন্টার, বিজ্ঞান জাদুঘর আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টরি, সঙ্গীত ও অন্যান্য শিল্প পরিবেশন কেন্দ্র রেডিও সিটি মিউজিক হল, ব্রংক্স জু নামক চিড়িয়াখানা প্রভৃতি।
হাতে সময় নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন নিউ ইয়র্ক সিটি।
কেরালা, ভারত
সাগর, বালিময় তট, লোভনীয় সব খাবার, প্রকৃতি- সব কিছুর এক দারুণ মেলবন্ধন ঘটেছে যেন ভারতের কেরালা রাজ্যে। রাজ্যটিকে ঈশ্বর যেন নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন! এই রাজ্যে রয়েছে প্রাচীন সব ধর্মীয় স্থাপনা। হাতে সময় নিয়ে নতুন বছরে ঘুরে আসতে পারেন।
কেরালায় যাবেন আর তাদের বোটহাউসে ঘুরবেন না তা কি হয়! মাঝারি খালের মধ্য দিয়ে নৌকাভ্রমণ করতে পারেন। খালের পানিতে ভেসে চারপাশের নারিকেল গাছের সারি দেখতে দেখতে আপনার মনে হবে যেন অন্য কোনো জগতে চলে এসেছেন।
কেরালায় চোখে পড়বে বিশাল সব চা বাগান। দেখার মতো আছে বেশ কিছু মিউজিয়াম, ওয়াটার ফল, মনোমুগ্ধকর সব লেক আর প্রাণীদের অভয়ারণ্য। আছে ট্র্যাকিং আর হাইকিংয়ের জন্যও অসাধারণ সব জায়গা। তাই আর দেরি না করে আপনার বেড়ানোর লিস্টে কেরালার নামটি লিখে ফেলুন।
লিচেনস্টাইন
লিচেনস্টাইন সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার সীমান্তে অবস্থিত ইউরোপের একটি ছোট্ট দেশ। পৃথিবীর ছোট দেশের তালিকায় এর অবস্থান ষষ্ঠ। ৬২ বর্গমাইলের ছোট এই দেশটিতে ৩৭ হাজার লোকের বাস।
সুইজারল্যান্ডের গ্যালেন আলটেনহেইন এয়ারপোর্ট থেকে লিচেনস্টেইনের রাজধানী ভেদুজ’র দূরত্ব মাত্র ৩৮ কিলোমিটার।
এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কম অপরাধ সংঘটিত হয় এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি। ছোট এ দেশটি আজ বিশ্বের বুকে সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর একটি হিসেবেও খ্যাতি কুড়িয়েছে। সম্প্রতি দেশটি তার ৩০০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।
দেশটিতে রয়েছে বিখ্যাত সব আর্ট গ্যালারি, মিউজিয়াম আর সুরম্য প্রাসাদ। আছে হাইকিংয়ের জন্যও অসাধারণ সব জায়গা। নতুন বছরে ঘুরে আসতে পারে ছবির মতো সাজানো ছোট্ট এই দেশটি।
লিমা, পেরু
প্রশান্ত মাহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত পেরুর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও রাজধানী লিমা। পেরুর বেশিরভাগ লোক ইনকা বা অন্য আদিবাসী আমেরিকান জাতির লোক।
প্রতি বছর পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক মাচুপিচু দেখতে ছুটে যান লিমা থেকে ৩৫৭ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কুসকো শহরে। মাচুপিচু ইনকা জাতির প্রতিষ্ঠিত সবচেয়ে বিস্ময়কর নগরীর নাম। পর্যটকদের দ্রুত এক ঘণ্টার ফ্লাইটে করে ইনকা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যাওয়া হয়। পাহাড়ের উপত্যকায় অন্যান্য আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থলও প্রচুর। বোহেমিয়ান বারানকো লিমার সবচেয়ে জনপ্রিয় এলাকাগুলোর একটি। স্পেনীয় ঔপনিবেশিক সংরক্ষিত ঘর ক্যাসোনার জন্য এটি বিখ্যাত। সেখানে মহাসাগর দেখা যায়, সবুজময় স্থান এবং রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে প্রচুর। শিল্পী, লেখক ও সঙ্গীতশিল্পীদেরও প্রিয় জায়গা এটি। এছাড়াও বারানকোয় সার্ফারবান্ধব সৈকত এবং নৌকা চালকদের ইয়ট ক্লাব রয়েছে।
নতুন বছরে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন এই দেশটি।
** ২০১৯ সালে যেতে পারেন বিদেশের যেসব স্থানে
বাংলাদেশ সময়: ০৯২১ ঘ্ণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
আরআর