তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
০৫ জুন, ২০১৯, বুধবার। ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৯৪২- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: যুক্তরাষ্ট্র বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা।
১৯৬৭- ছয়দিনের যুদ্ধ শুরু।
জন্ম
খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০- গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস।
বিশ্বে যতো বড় বড় দার্শনিকের জন্ম হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম সক্রেটিস। বাবা সোফনিকাস ছিলেন নামি ভাস্কর। মা ছিলেন ধাত্রী। শিষ্য প্লেটোর লেখনিতেই সক্রেটিস সম্পর্কে জানা যায়। তার নাক নাকি ছিল থ্যাবড়া। দেখতেও ছিলেন অনেকটা কুৎসিত। তবে ছিলেন অসম্ভব মেধাবী। তর্কে ছিলেন তুখোড়। তর্ক করে কেউ তাকে হারাতে পারতো না। তার প্রিয় বাক্য ছিল ‘নিজেকে জানো’।
জ্ঞান আর শিক্ষা দিয়ে তিনি এথেন্সের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেন। তার অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তার প্রিয় শিষ্য প্লেটো প্রচার করতে থাকেন গুরুর শিক্ষা-দীক্ষা। কিন্তু দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সক্রেটিসের এ খ্যাতি মেনে নেয়নি। পছন্দ করেনি তার শিক্ষা-দর্শন। একপর্যায়ে তারা অভিযোগ করেন, সক্রেটিস নাকি যুব সমাজকে বিপথগামী করছেন। এ অভিযোগে তাকে ঢোকানো হলো কারাগারে। কিন্তু এতেও তাকে থামানো যায়নি। তাই সিদ্ধান্ত হয় মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার। মৃত্যুর আগে তাকে পালানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পালাননি। পরে হেমলক বিষপান করিয়ে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন বিশ্বজুড়ে অসংখ্য অনুসারীর মধ্যে।
১৭২৩- স্কটিশ অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক এডাম স্মিথ।
১৮৯৮- স্পেনের কবি ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা।
১৯১১- নুরেমবার্গ বিচারের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী আমেরিকান জল্লাদ জন সি. উডস।
মৃত্যু
১৯১০- প্রখ্যাত মার্কিন ছোট গল্পকার ও হেনরি।
২০০৪- যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর (৩৩তম) হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি তার অভিনয় প্রতিভার জন্য দরুণ সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। তার দায়িত্ব খুব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। সময়কালে তিনি অর্থনীতিতে সচ্ছলতা লাভ করেন।
বলা হয়ে থাকে, রোনাল্ড প্রশাসনিক দায়িত্বের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েও তার হলিউডি মানসিকতা থেকে মুক্ত হতে পারেননি। রুপালি পর্দার এই অভিনেতা যেসব ছবিতে অবতীর্ণ হয়েছেন, সেগুলোতে নায়ক অবশ্যই মহাবলশালী এবং সম্মুখসমরে শত্রুনিধনে পারঙ্গম। ফিল্ম ছেড়ে প্রবল শক্তিধর রাষ্ট্রের কর্ণধার হওয়ার পরেও তিনি ওই পার্টির মতাদর্শ অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করেছেন। সর্বোচ্চ দিয়ে করেছেন দেশসেবা।
২০১৫- ইরাকের রাজনীতিবিদ, দেশটির বাথ সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী তারেক আজিজ।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
টিএ/এএ