আয়োজনে শুরুতেই ছিলো যন্ত্রসঙ্গীত। অনবরত বর্ষণ মুখর বৃষ্টিধারার সুর এবং মাঝে মাঝে মেঘের ডাকে বর্ষার অনুভূতিতে শ্রোতাদের হৃদয়কে ভিজিয়ে দেয়।
আয়োজনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। তিনি বলেন, ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। বর্ষা তার মধ্যে অন্যতম। তবে আমরা যারা শহরে থাকি, তারা বর্ষাকে অনুভব করতে পারি না। তাই এই সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন। প্রতিটি ঋতুর সঙ্গে সমন্বয় রেখেই আমরা এমন আয়োজনের চেষ্টা করবো।
একাডেমির সংগীত শিল্পীরা পর্যায়ক্রমে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন, ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী, এসো হে সজল শ্যাম ঘন দেয়া, আজি আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে’ এর মতো গান।
একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মোহনা দাস। তিনি পরিবেশন করেন ‘মেঘ বলছে যাবো যাবো’ গানটি। আর ‘সখী বাঁধলো বাঁধলো ঝুল নিয়া’ পরিবেশন করেন শিল্পী হিমাদ্রী রায়, ‘এই মেঘলা দিনে একলা’ শিল্পী সোহানুর রহমান, ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসা’ শিল্পী সুচিত্রা সূত্রধর, ‘আকাশ মেঘে ঢাকা’ পরিবেশন করেন শিল্পী আবিদা রহমান সেতু। আর হীরক সর্দারের কণ্ঠে ‘আষাঢ মাইস্যা ভাসা পানি রে’ এবং ‘শ্রাবণের মেঘগুলো’ গান করেন শিল্পী রোখসানা আক্তার রূপসা।
এছাড়া সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী নবনীতা, ইয়াসমীন মুস্তারী, রফিকুল আলম এবং আবু বকর সিদ্দীক। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন কৃষ্টি হেফাজ এবং নিমা রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
আরকেআর/এমএ