দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে সংস্কার প্রকল্প ও ষাটের দশকে রেখে যাওয়া অসংখ্য ধ্বংসাবশেষ, শহরের বিখ্যাত ক্যানাল হাউস স্থাপনার বিচ্ছিন্ন টুকরো, প্রাচীন গহনা, রোমান স্থাপত্যের অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে আমস্টারডামে। শহর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন গোপন জায়গায় এসব প্রাচীন নিদর্শন জমা করে রেখেছে।
সম্প্রতি আমস্টারডামকে আরও আকর্ষণীয় করে সাজাতে এসব পুরাকীর্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একবিংশ শতাব্দীর এই আধুনিক শহরে ফিরিয়ে আনা হবে শত বছর আগের ঐতিহ্য। প্রাচীনত্বের স্বাদ ফিরিয়ে আনতেই রাজধানীর প্রতিটি মানুষকে দেওয়া হবে ষোড়শ শতাব্দীর যেকোনো একটি পাথুরে পুরাকীর্তি।
ইতোমধ্যে পুরাকীর্তিগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে দেশটির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। তালিকায় ছবিসহ বিশদ বর্ণনা দেওয়া রয়েছে সেগুলোর। সবাই নিজের পছন্দ মতো যেকোনো জিনিস বেছে নিতে পারবেন।
পর্যটকদের আগ্রহ ধরে রাখতে প্রায়ই নতুন নতুন আইডিয়ায় সাজানো হয় আমস্টারডামকে। তিনটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করে শহরটিকে এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যেন মনে হচ্ছে পানির ওপর ভাসছে আমস্টারডাম। দালানগুলোর নকশা ও রঙে বিভিন্ন শতাব্দীর ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। হঠাৎ শহরটিতে ঢুকলে মনে হবে, প্রাচীন কোনো সময়ে চলে এসেছেন।
আমস্টারডামের প্রধান আকর্ষণই এর প্রাচীনত্ব। আর সেই প্রাচীনকে নতুন জীবন দিতেই ‘নিউ লাইফ ফর গোল্ডেন এজ’ বা ‘স্বর্ণযুগের নবপ্রাণ’ পরিকল্পনা নিয়েছে সেখানকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। তবে, পুরাকীর্তিগুলো কখন ফিরিয়ে নেওয়া হবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
কেএসডি/একে