ব্যতিক্রমী রেস্টুরেন্টটির দেখা মিলবে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে সাংস্কৃতিক রাজধানীখ্যাত ইয়োগিয়াকারটা শহরে। নাম সোটো ককরো কেমবাং।
রেস্টুরেন্টটির সব চেয়ার-টেবিলের নিম্নাংশ ডুবে আছে গোড়ালি সমান পানিতে, এর মধ্যে রয়েছে ছোট ছোট অসংখ্য মাছ। সেখানকার খাবারও বেশ সুস্বাদু। ফলে, দ্রুতই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে ‘টু ইন ওয়ান’ রেস্টুরেন্টটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, গত জুন মাসেই চালু হয়েছে রেস্টুরেন্টটি, মালিকের নাম ইমাম নূর।
খোলামেলা পরিবেশে স্থানীয় খাবার পরিবেশনের পরিকল্পনা ছিল ইমামের। তবে, ব্যতিক্রমী এক আইডিয়া দেন তার বাবা। তার পরামর্শেই চালু হয় খাবারের সঙ্গে ফিশ পেডিকিউর সেবা।
জানা যায়, রেস্টুরেন্টের পানিতে প্রায় সাত হাজার রেড-নাইল তেলাপিয়ার বসবাস। কেউ পানিতে পা রাখা মাত্রই কুটকুট করে কামড় দিতে শুরু করবে ছোট ছোট মাছগুলো।
ইমাম নূর বলেন, আমরা মূলত স্থানীয়দের জন্যই এই রেস্টুরেন্ট খুলেছিলাম। কিন্তু, এখন যা হচ্ছে, তা কারও ধারণাতেও ছিল না। এটি রীতিমতো একটি পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বাইরের শহরগুলো থেকেও অসংখ্য মানুষ আসছে এখানে।
রেস্টুরেন্টে ফিশ পেডিকিউর ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এটি নিয়ে রয়েছে সমালোচনাও। এ থেকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে জানিয়ে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশেই ফিশ পেডিকিউর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি, বিষয়টিকে মাছদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বলেও দাবি করেছে কিছু সংগঠন।
তবে, যত সমালোচনাই থাক, খদ্দেরের অভাব হচ্ছে না ‘সোটো ককরো কেমবাং’ রেস্টুরেন্টে।
কারিয়ানভ নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি পায়ে মাছের কামড় অনুভব করতে পারি। কিছুটা সুড়সুড়ি লাগলেও বিষয়টি দারুণ।
অ্যানা নামে আরেকজন বলেন, আমি এধরনের জায়গা অন্য কোথাও দেখিনি। এটা পুরো পরিবার নিয়ে আসার মতোই বড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
একে