দিবসটি সামনে রেখে চারদিকে ফুল বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। ফুল বিক্রেতাদের কাছে রয়েছে সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তির অগ্রিম অর্ডার।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহরের সাতমাথা সংলগ্ন শহীদ খোকন পার্ক রোডের ফুল মার্কেটসহ আশেপাশের বিভিন্ন দোকানে গেলে ফুল ব্যবসায়ী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ফুল কিনতে আসা ক্রেতা সাধারণের সঙ্গে কথা হলে এসব তথ্য উঠে আসে। ফুল মার্কেটের দোকানগুলোয় থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে হরেক রকমের ফুল। এর মধ্যে গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা অন্যতম। এসব ফুল আকর্ষণীয়ভাবে বেঁধে শ্রদ্ধা জানানোর ফ্রেমে আটকে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন আকারের মালা তৈরি করা হচ্ছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুল মার্কেটের দোকানিরা।
ফুল ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা কয়েক সপ্তাহ আগ থেকেই ফুল সংগ্রহ শুরু করেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় বাজারকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে, চাহিদা বুঝে দূর-দূরান্তের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহর থেকে বাহারি রকমের ফুল আমদানি করা হয়।
ফুল ব্যবসায়ী বাবলু মিয়া, কাজল শেখ, মিলন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, কমবেশি প্রত্যেক মানুষ ফুলকে ভালোবাসেন। ফুলকে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফুল মার্কেটে ফুলপ্রেমিদের সরব উপস্থিতি তারই প্রমাণ দেয়।
কারণ এই মার্কেটে বছরের বারো মাসই ফুল বিক্রি হয়। এখানকার ব্যবসায়ীরা ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তবে, বিশেষ দিবসগুলোয় এ মার্কেটে পর্যাপ্ত ফুল বিক্রি হয় বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, প্রত্যেক বছর মহান বিজয় দিবসসহ গুরুত্বপূর্ণ দিবসে প্রচুর ফুল বিক্রি হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠনসহ ব্যক্তি পর্যায় থেকে ফুল নেওয়ার জন্য আগাম অর্ডার এসেছে।
নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্ডার অনুযায়ী ফুল বুঝে দিতে হবে। বর্তমানে তাদের দম ফেলার ফুসরত নেই বলে এসব ব্যবসায়ীরা জানান।
তারা আরও বলেন, বড় আকারের প্রত্যেকটি ফুলের তোড়া ১০০০-৩০০০ টাকা, মাঝারি আকারের ৮০০-৯০০ টাকা ও ছোট আকারের ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সোহরাব, আব্দুল মালেক, মিনহান, আসিফসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানতে তারা ফুল কিনতে এসেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
কেইউএ/এএটি