তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার। ১১ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৮০৫- অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্স প্রেসবার্গ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৮৯৮- পিয়েরে ক্যুরি ও মেরি ক্যুরি রেডিয়াম আবিষ্কার করেন।
১৯০৬- বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে।
১৯৩২- চীনের গানসুতে ভূমিকম্পে ৭০ হাজার লোকের প্রাণহানি।
১৯৪৯- বিজ্ঞানী আলবার্ট আইস্টাইন মধ্যাকর্ষণের নতুন সাধারণকৃত তত্ত্ব উদ্ভাবন করে।
১৯৭৬- নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
জন্ম
১৭৯১- ব্রিটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ। তাকে কম্পিউটারের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।
১৮৯৩- চীনা বিপ্লবী, মার্কসবাদী তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক নেতা মাও সে তুং।
১৯৪৯ সালে সমাজতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চীন শাসন করেন। তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। মার্কসবাদ-লেনিনবাদে তার তাত্ত্বিক অবদান, সমর কৌশল এবং তার কমিউনিজমের নীতি এখন একত্রে মাওবাদ নামে পরিচিত।
১৯৩৮- স্বনামধন্য বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলমগীর কবির।
তিনি ১৯৩৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাঙামাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে বেশ কিছু প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার তিনটি চলচ্চিত্র ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের ‘বাংলাদেশের সেরা ১০ চলচ্চিত্র’ তালিকায় স্থান পেয়েছে।
১৯৮৪ সালে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘পরিণীতা’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়। তিনি বগুড়া জেলায় একটি চলচ্চিত্র বিষয়ক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ঢাকা ফিরে আসার পথে ১৯৮৯ সালের ২০ জানুয়ারি নগরবাড়ি ফেরিঘাটে এক দুর্ঘটনায় নিহত হন। শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ সালে আলমগীর কবিরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসেবে পরিচিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ দেওয়া হয়।
মৃত্যু
১৫৩০- মুগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর।
১৪৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান উজবেকিস্তানের আন্দিজানে জন্ম হয়েছিল তার। ১২ বছর বয়সে রাজ সিংহাসনে বসেছিলেন বাবর। বাবরের চিন্তাধারায় কখনও হার না মানার একটা মানসিকতা ছিল। তার মাথায় সমরখন্দ দখলের স্বপ্ন ছিল। ইতিহাসবিদ হরবংশ মুখিয়ার কথায়, সংস্কৃতি, সাহসিকতা আর সেনা পরিচালনার ক্ষেত্রে বাবর নিঃসন্দেহে এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। যদি বাবর ভারত উপমহাদেশে না আসতেন, তাহলে এই দেশের সংস্কৃতি হয়তো এতটা বিচিত্র হওয়ার সুযোগ পেতো না। ভাষা, সংগীত, চিত্রকলা, স্থাপত্য, পোশাক অথবা খাবার-দাবার- প্রতিটা বিষয়েই মুঘলদের অবদান অনস্বীকার্য।
১৮৩১- ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও।
১৮৬২- জাপানি চিত্রশিল্পী কাকুজো ওকাকুরা।
১৯৭২- যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি হ্যারি এস ট্রুম্যান।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
টিএ
