ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

অবুঝ শিশুর হাতে কেন ভিক্ষার থালা?

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
অবুঝ শিশুর হাতে কেন ভিক্ষার থালা?

ঢাকা: শিশু বলতেই মানসপটে ভেসে উঠে নিষ্পাপ, তুলতলে বা আদুরে একটা মুখ। দেখলেই কোলে তুলে নেওয়ার লোভ সামলাতে পারেন এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর বটে! কিন্তু এটা ভাবনা। বাস্তবতা যে ভাবনার পথ অনুসরণ করে না অবুঝ শিশু খাদিজা আক্তার যেন তারই উদাহরণ।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার পথে দেখা মিললো খাদিজার। হাত পেতে সে টাকা চাইছে সবার কাছে।

মানবিক দিক বিবেচনা করে শিশুর আবদার ফেলতে না পারার কারণেই হয়তো প্রায় সবাই কিছু না কিছু টাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তাকে। ছবিগুলো তুলেছেন বাংলানিউজের সাভার করেসপন্ডেন্ট সাগর ফরাজী।

এ পথ দিয়ে চলাচল করেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানালেন খাদিজাকে তারা আজই প্রথম দেখছেন। হাতে থাকা পথিলিনে আমড়ার মতো কিছু একটা দেখা যাচ্ছিল। একটু পর তা বের করে চুষে আবার রেখে দিচ্ছিল পলিথিনের মধ্যেই।

ভিক্ষার ক্ষেত্রে শিশুদের ব্যবহার করছেন কেউ কেউ।  ছবি: সাগর ফরাজী।

অনেকটা অভ্যাসের বশে খোঁজ নেওয়া শুরু হলো আসলেই খাদিজাকে ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করছেন কে বা কারা! কিন্তু কারও খোঁজই মিললো না। সড়কের সঙ্গে লাগোয়া একটা বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে বসে আছে দুয়েকটা ছেলেমেয়ে। দেখে মনে হলো তাদের সঙ্গে খাদিজার কিছুটা সখ্যতা রয়েছে।

পথশিশুদের জন্য আমাদের সমাজ আসলে কতটা যত্নবান?

হয়তো অভাবের কারণে পরিবারের সদস্যরা প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেই পথের মাঝে প্লাস্টিকের বোল নিয়ে খাদিজাকে বসিয়ে দিয়েছে। এটাকে আমরা বর্বরতা বললে আসলে ভুল কিছু হবে কি? অবশ্য এটা সমাজের সামগ্রিক চিত্র না হলেও রাজধানীতে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে অহরহ।

এ বিষয়ে কথা হলো সাভার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাফসিরা লিজার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আসলে এই বয়সে শিশুটির বাবা-মায়ের কাছে থাকার কথা। কিন্তু সে ফুটপাতে ভিক্ষা করছে। শিশুদের নিয়ে সমাজ সেবক যারা আছেন তারা অনেক কাজ করছেন।

শিশু খাদিজা আক্তার।  ছবি: সাগর ফরাজী

‘শিশুটির পিতা-মাতার অসচেতনতার কারণেও হয়তো এমনটা হচ্ছে। আমরা এমনও শুনেছি যে, এসব অভিভাবকরা অর্থলোভের কারণে শিশুদের ফুটপাতে ভিক্ষার করতে বসিয়ে দেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।