রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার পথে দেখা মিললো খাদিজার। হাত পেতে সে টাকা চাইছে সবার কাছে।
এ পথ দিয়ে চলাচল করেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানালেন খাদিজাকে তারা আজই প্রথম দেখছেন। হাতে থাকা পথিলিনে আমড়ার মতো কিছু একটা দেখা যাচ্ছিল। একটু পর তা বের করে চুষে আবার রেখে দিচ্ছিল পলিথিনের মধ্যেই।
অনেকটা অভ্যাসের বশে খোঁজ নেওয়া শুরু হলো আসলেই খাদিজাকে ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করছেন কে বা কারা! কিন্তু কারও খোঁজই মিললো না। সড়কের সঙ্গে লাগোয়া একটা বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে বসে আছে দুয়েকটা ছেলেমেয়ে। দেখে মনে হলো তাদের সঙ্গে খাদিজার কিছুটা সখ্যতা রয়েছে।
হয়তো অভাবের কারণে পরিবারের সদস্যরা প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেই পথের মাঝে প্লাস্টিকের বোল নিয়ে খাদিজাকে বসিয়ে দিয়েছে। এটাকে আমরা বর্বরতা বললে আসলে ভুল কিছু হবে কি? অবশ্য এটা সমাজের সামগ্রিক চিত্র না হলেও রাজধানীতে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে অহরহ।
এ বিষয়ে কথা হলো সাভার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাফসিরা লিজার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আসলে এই বয়সে শিশুটির বাবা-মায়ের কাছে থাকার কথা। কিন্তু সে ফুটপাতে ভিক্ষা করছে। শিশুদের নিয়ে সমাজ সেবক যারা আছেন তারা অনেক কাজ করছেন।
‘শিশুটির পিতা-মাতার অসচেতনতার কারণেও হয়তো এমনটা হচ্ছে। আমরা এমনও শুনেছি যে, এসব অভিভাবকরা অর্থলোভের কারণে শিশুদের ফুটপাতে ভিক্ষার করতে বসিয়ে দেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
এইচএডি/