ঢাকা: বিধিনিষেধ ছিল অনেক। ফলে বিবর্ণভাবেই মধ্যরাতে রাজধানীবাসী বরণ করে নিয়েছে ইংরেজি নতুন বছর ২০২১-কে।
শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) বিকেল থেকেই রাজধানীবাসী ভিড় জমাতে শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর ও হাতিরঝিলে। বিশেষ করে হাতিরঝিলে বিকেল থেকে নেমেছে মানুষের ঢল।
শুক্রবার বিকেলে টিএসসির সামনে কথা হচ্ছিলো আজিমপুরের বাসিন্দা জামসেদ আলমের সঙ্গে। তিনি বললেন, ২০২০ সাল আমাদের জন্য আসলে ‘বিষ’ ছিল। এ ‘বিষ’ ছিল করোনা নামক ‘সাপের’। নতুন বছরে প্রত্যাশা করোনার ভ্যাকসিন ‘ওঝা’ হয়ে সেই বিষকে তাড়াবে।
তার কথায় বেশ মজা পেয়ে হেসে তার সঙ্গী ফাতিমা আইরিন বলেন, রাতের বেলা ছাদে উঠে আতশবাজি দেখে নতুন বছরকে বরণ করেছি। বিকেলের পর তাই ঘর থেকে বেরিয়ে টিএসসি এলাম। এখানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে ঘরে ফেরার পথে বাইরে একসঙ্গে সবাই খাওয়া-দাওয়া করবো। এভাবেই নতুন বছরকে বরণ করে নেবো।
টিএসসির সামনেই কথা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আতিক বিনতে আকিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার বেশিরভাগ বন্ধুই করোনার কারণে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে। আমি ঢাকার ছেলে হওয়ায় এখানেই আছি। নিজের প্রিয় ক্যাম্পাসকেও তাই অচেনা লাগছে। আশপাশের মানুষগুলোকেও অচেনা লাগছে। এই অচেনা মানুষের সঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করে নিলাম।
গেলো কয়েক বছর ধরেই রাজধানীবাসীর বিনোদনের অন্যতম প্রধান স্থল হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকা। থার্টি ফার্স্ট নাইটে সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তবে শুক্রবার সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে ছিল না কোনো বাধা। মানুষও তাই ঘর থেকে বেরিয়ে বিকেলে ভিড় জমিয়েছেন হাতিরঝিল এলাকায়।
সেখানে কথা হলো কাওসার আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাতের বেলাতেই হাতিরঝিলে আসার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে আসতে পারিনি। সেজন্যই বিকেলে চলে এসেছি। এখানে বন্ধুদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করে নতুন বছরকে বরণ করে নেবো।
গুলশান-১ নম্বরের বাসিন্দা আলিমুল হক মুকুল বলেন, করোনার ভয়ে ঘর থেকে বেরুতেই ভয় লাগে। কিন্তু বাচ্চাদের আবদার রক্ষার জন্য কারণে বের হলাম।
এদিকে, নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ঘর ছেড়ে বের হয়ে আসা মানুষের ভিড়ে জমজমাট ছিল রাজধানীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে। সেখানে আগতদের জন্য ছিল নানা আয়োজনও।
এর বাইরেও নতুন বছরের ছুটিতে অনেকেই ঢাকা থেকে বেরিয়ে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, কুয়াকাটার মতো পর্যটন এলাকায় ঘুরতে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২১
ডিএন/এইচএডি