ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই সেখানে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৫ ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ৫ রজব ১৪৪২। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১১২৩: সম্রাট ফ্রেডরিক জেরুজালেম দখল করেন।
১৮৬১: প্রথম ইতালীয় পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হয়।
১৮৮৫: মার্ক টোয়েনের বিখ্যাত বই ‘অ্যাডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন’ প্রকাশিত হয়।
১৯১৫: ডুবোজাহাজের মাধ্যমে জার্মানির ব্রিটেন অবরোধ শুরু হয়।
১৯২৬: বিখ্যাত রিফ নেতা আবদুল করিম খাত্তাবি ফরাসি এবং স্পেনীয় যৌথবাহিনীর হাতে পরাজিত হন।
১৯৩০: প্লুটো আবিষ্কৃত হয়।
১৯৩৪: আলজেরিয়ার বিখ্যাত যোদ্ধা আমির আবদুল কাদেরের হাতে আগ্রাসী ফরাসি সেনারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়।
১৯৫১: নেপালে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৫: গাম্বিয়ার স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭৩: বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আফগানিস্তান।
১৯৭৬: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের নাগিরকত্বে ভূষিত করা হয়।
১৯৯৭: বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থার যাত্রীবহন শুরু হয়।

জন্ম
১৪৮৬: শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু, বৈষ্ণব সন্ন্যসী ও ধর্মগুরু, ভারতে গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক।
১৭৪৫: আলেসান্দ্রো ভোল্টা, ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী
১৮৩৬: প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
১৯২৭: মহম্মদ খৈয়াম হাশমি, ভারতের প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার
১৯৩৭: আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক

আনিসুজ্জামান ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।

১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৯৫৭ সালে একই বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সে সময় বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও শিক্ষক ছিলেন মুনীর চৌধুরী।

আনিসুজ্জামান শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য একাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। শিক্ষায় অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৫ সালে তিনি একুশে পদক পান। শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ভারত সরকার প্রদত্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদক পান তিনি। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।

আনিসুজ্জামান ২০০৫ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট. ডিগ্রি এবং ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক পান। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘জাতীয় অধ্যাপক’ হিসেবে নিয়োগ দেয়।

আনিসুজ্জামান ২০২০ সালের ১৪ মে ৮৩ বছর বয়সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত, হৃদরোগ, কিডনি রোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। পরে তার মরদেহ থেকে নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হলে জানা যায় তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। তাকে আজিমপুর কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

মৃত্যু
১৫৬৪: মাইকেল অ্যাঞ্জেলো, ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি
১৮৫১: কার্ল গুস্তাফ ইয়াকপ ইয়াকবি, জার্মান গণিতবিদ
১৯৬৯: মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা, বাঙালি শিক্ষাবিদ এবং অধ্যাপক
১৯৭৪: মুক্তিসংগ্রামী, চারণকবি ও সাংবাদিক বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়
১৯৭৭: বাংলা সিনেমার নেতৃস্থানীয় অভিনেত্রী কাবেরি বসু

বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।