দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার জন্য আজ (০১ ডিসেম্বর) জয় ছাড়া কোনও পথ খোলা ছিল না বেলজিয়ামের সামনে। অন্যদিকে ড্র করলেই চলতো ক্রোয়োশিয়ার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রোমেলু লুকাকুকে মাঠে নামায় রেড ডেভিলরা। ৫১ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় ডি ব্রুইন। তার বুলেট গতির শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৫৪ মিনিটে এবার ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ থেকে ব্রজোভিচের শট রুখে দেন কর্তোয়া। ৬০ মিনিটে প্রায় গোলের দেখায় পেয়ে গিয়েছিল বেলজিয়াম কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলবার। লুকাকুর ডান পায়ের শট গোলরক্ষকে পরাস্ত করলেও গোলবারে লেগে বাইরে চলে যায়।
৬৪ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় লুকাকু। এবার তার হেড চলে যায় গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে। ম্যাচের শেষ দিকে ৮৭ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন লুকাকু। এবারও তার শট দেখা পায়নি গোলের। ৯০ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন ইন্টার মিলানে ধারে খেলতে যাওয়া লুকাকু। থোরান হ্যাজার্ডের বাড়ানো বলে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও তা গোল মুখে ঢুকাতে পারেননি তিনি। মূলত লুকাকুর এতগুলো গোল মিসেই কপাল পুড়ে বেলজিয়ামের। খালি হাতেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয় বেলজিয়ামকে। অন্যদিকে ড্র করে গ্রুপের রানার্সআপ হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে ক্রোয়েশিয়া।
এর আগে ম্যাচের ১০ সেকেন্ডের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শট নেন ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড ইভান পেরিসিচ। পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায় বল। ১৩ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন বেলজিয়ামের ড্রিস মার্টিনেস। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে কেভিন ডি ব্রুইন পাস দেন বক্সে। ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন মার্টিনেস।
দুই মিনিট পর ইয়ানিক কারাসকো ডি-বক্সে ক্রোয়েশিয়ার ক্রামারিচকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে আক্রমণের শুরুতে ক্রোয়েশিয়ার একজন অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে বেলজিয়াম। প্রথমার্ধে গোলের জন্য বেলজিয়াম শট নেয় পাঁচটি, ক্রোয়েশিয়া ছয়টি, তবে লক্ষ্যে ছিল না একটিও।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১,২০২২
এআর