এবারের বিশ্বকাপটা সৌদি আরবের কাছে হেরে শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনার। ওই ম্যাচটার পর অবশ্য টানা দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোয় উঠেছে তারা।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও উঠলো এই প্রসঙ্গ। যার জবাবে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার দি পল বললেন, 'এটা সৌদির কাছে হার) খুবই পজিটিভ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকদিন পড়িনি। আমরা অনেকদিন হারের মুখ দেখিনি। এরপরই আমরা নিজেদের ভুলগুলো বুঝতে পারি এবং নিজেদের খুঁজে পাই। এটা যে সহজ বিশ্বকাপ হচ্ছে না, তা ওই ম্যাচেই বুঝতে পেরেছিলাম আমরা। অনেক বড় দল বাদ পড়ে গেছে। তবে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং গ্রুপ পর্ব শীর্ষে থেকে শেষ করেছি। ফলে (সৌদি) ম্যাচটার গুরুত্ব আলাদা। দিনগুলো কঠিন ছিল, কিন্তু এখন ফিরে দেখলে (হারটা) ইতিবাচক মনে হয়। '
সেই ২০০৬ বিশ্বকাপ (সত্যিকার অর্থে ২০১০ বিশ্বকাপ) থেকে লিওনেল মেসিকে ঘিরে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখছে আর্জেন্টিনা। তখন থেকে 'খুদে জাদুকর'-এর খেলা দেখেই বেড়ে ওঠেছেন দেশটির নতুন প্রজন্মের ফুটবলাররা। রদ্রিগো দি পলও সেই নতুনদের একজন। যে মেসিকে একসময় আইডল মেনে খেলা শুরু করেছিলেন; এখন তারই সতীর্থ এই তরুণ মিডফিল্ডার।
মেসির কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শেখার সুযোগ পাওয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়। দি পল শুধু মেসি নয়। শিখছেন আরেক সিনিয়র সতীর্থ আনহেল দি মারিয়ার কাছ থেকেও। আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেললে যে বিশাল পরিমাণ প্রত্যাশার চাপ বহন করতে হয় এবং কীভাবে সেই চাপ সামলাতে হয়; তা এই দুই কিংবদন্তির কাছ থেকেই শিখছেন দি পল। শেষ ষোলোর লড়াই শুরুর আগে এমনটাই জানালেন তিনি।
আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় শেষ ষোলোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে মাঠের সেই লড়াই শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে দলের হয়ে কথা বলেছেন দি পল। দলে মেসি ও দি মারিয়ার প্রভাব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'তারা (মেসি ও দি মারিয়া) আমাদের অনেক সহায়তা করেন। তারা আমাদের আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলার গুরুত্ব বোঝান। তারা সব ধরনের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন, কিন্তু আমাদেরও দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে। তারা এই জাহাজ চালান, কিন্তু আমাদের সবাইকেই দায়িত্ব নিতে হবে। '
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দি পল বলেন, 'এটা পোল্যান্ড ম্যাচের মতোই হতে যাচ্ছে। তারা আমাদের বল দেবে ঠিকই, কিন্তু বাইরে ওদের বেশ গতিসম্পন্ন খেলোয়াড় থাকবে। তাই আমরা যখন আক্রমণে যাব, রক্ষণও সামলে রাখতে হবে। এই দায়িত্বটা মিডফিল্ড থেকে রক্ষণে যারা থাকবে তাদেরই পালন করতে হবে; যাতে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা নিশ্চিন্তে খেলতে পারে। তাদের দলটা খুবই ফাস্ট এবং ওদের খেলোয়াড়রা লম্বা, সেন্টার-ব্যাকরাও। ওদের উইঙ্গাররা খুবই দ্রুত জায়গা বদল করতে পারে। তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২২
এমএইচএম