না, এবারও পারলেন না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ক্যারিয়ারে একটি মাত্র অপূর্ণতা।
লম্বা ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন অনেক কিছুই। বয়সের কোটা এখন ৩৮ ছুঁইছুঁই। তাই আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বেশ কয়েকটা সাক্ষাৎকারে এর ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তিনি। তবে রোনালদো হয়তো নিজ থেকেই জানতেন এটিই তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। তাই তো মরক্কো ফুটবলার যখন উল্লাস করছিলেন তখনই কাঁদতে কাঁদতে ড্রেসিং রুমের পথে হাঁটতে দেখা গেল তাকে। কোনোভাবেই চোখের পানি আটকে রাখতে পারছিলেন না।
আল থুমামা স্টেডিয়ামে খেলার শুরুতেই রোনালদোকে ফের বেঞ্চে দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। ধারাভাষ্যকার পিটার ড্রুরি কণ্ঠে তখন শোনা যাচ্ছিল, ‘লিওনেল মেসি বিশ্বকাপে আছেন, রোনালদোও বিশ্বকাপে আছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে রোনালদো কেবলই দর্শক। ’ খেলার ৫১ মিনিটে অবশ্য রোনালদোকে মাঠে নামান পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ততক্ষণে ১-০ গোলে পিছিয়ে পর্তুগাল। কিন্তু ৪৮ মিনিট খেলেও পর্তুগালকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেননি রোনালদো। পারেননি নিজের বিশ্বকাপ স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখতে। আবারও সেই মাথা নিচু করেই ফিরতে হলো তাকে। এবার সত্যি সত্যিই কাতার বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে গেলেন এই ফরোয়ার্ড।
বিশ্বকাপে নিজের প্রথম আসরে (২০০৬) খেলতে নেমেই পৌঁছে গিয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু সেই সাফল্যকে বাকি চার আসরে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি পর্তুগাল। ২০১০ বিশ্বকাপে শেষ ষোলো, ২০১৪-তে শেষ ষোলো, ২০১৮ সালে গ্রুপ পর্ব এবং ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা প্রজন্ম নিয়েও কোয়ার্টার ফাইনালের বেশি এগোতে পারেনি পর্তুগিজরা।
বাংলাদেশ সময় : ২৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
এএইচএস