অদম্য লিওনেল মেসিকে থামাবার সাধ্য আছে কার? ছুটেই চলছেন তিনি। পাশাপাশি নাম প্রতি ম্যাচেই নাম লেখাচ্ছেন রেকর্ডে।
আজ সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। ৩২তম মিনিটে বল নিয়ে গোলমুখে ছুটতে থাকা হুলিয়ান আলভারেজকে ঠেকাতে গিয়ে ফাউল করে বসলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন রেফারি। তারপর সফল স্পট কিকে জাল খুঁজে নিতে ভুল করেননি মেসি।
বিশ্বকাপে এটি ছিলো মেসির ১১তম গোল। গাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে এখন সচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনি। এবারের বিশ্বকাপে এটি তার পঞ্চম গোল। তার সমান গোল আছে শুধু ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পের। শুধু তাই নয়, মেসি এখন বিশ্বকাপের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ভিন্ন সাতটি ম্যাচে শুরুতেই গোল করার কীর্তিও গড়েছেন।
মেসির সামনে এখনও রয়েছে আরও কয়েকটি রেকর্ড গড়ার সুযোগ। ম্যাচটি জিতে নিলেই ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার স্বাদ পাবেন। এছাড়া সর্বাধিক অ্যাসিস্ট ও সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে থাকার রেকর্ডও হাতছানি দিচ্ছে আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টারকে। বিশ্বকাপের নকআউটে মেসির মোট অ্যাসিস্ট রয়েছে ৫টি। সেমিফাইনালে আর একটি অ্যাসিস্ট করলেই তিনি ছাড়িয়ে যাবেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেকে (৬টি)।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে থাকার রেকর্ডও অপেক্ষা করছে মেসির জন্য। ২১১৭ মিনিট খেলে এই রেকর্ডের বর্তমান মালিক ইতালিয়ান গ্রেট পাওলো মালদিনির। বিশ্বকাপে মেসি এখন পর্যন্ত খেলেছেন ২০১৪ মিনিট। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আজকের ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে এবং সেই সময় মাঠে থাকলেই রেকর্ডটি নিজের করে নেবেন মেসি। তবে আজ না হলেও সমস্যা নেই। পরের ম্যাচ তো আছেই!
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
আরইউ