কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত মরক্কোর জালে প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড় বল জড়াতে পারেননি। একটি গোল (কানাডার বিপক্ষে) হজম করেছিল তারা, সেটিও ছিল আত্মঘাতী।
২০২২ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় চমক মরক্কো। আফ্রিকার ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ চারে খেলতে নেমেছে তারা। আল বায়িত স্টেডিয়ামে এই ম্যাচটিতে নির্ধারিত হবে ফাইনালের লাইনআপ; যেখানে অপেক্ষা করছে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনা।
খেলার পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ডান দিক থেকে ঢুকে আতোয়াঁ গ্রিজমানের দিকে বল বাড়ান রাফায়েল ভারানে। তার পাস থেকে বল পেয়ে শট নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, কিন্তু তার শট রক্ষণের দেয়ালে বাধা পায়। তবে বল ছোট ডি-বক্সের সামনে থাকা থিও এরনঁদেজের সামনে পড়ে; আর তা থেকে গোল আদায় করে নেন ফরাসি ডিফেন্ডার।
থিও এরনঁদেজের গোলটি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম (৪:৩৯) গোল। এর আগে ১৯৫৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই লক্ষ্যভেদ করেছিলেন ব্রাজিলের ভাভা।
গোল হজম করার কিছুক্ষণের মধ্যেই শোধ করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল মরক্কো। কিন্তু বক্সের সামনে থেকে মরক্কান মিডফিল্ডার উনাহির বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে ফেরান ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস। ১৭তম মিনিটে ব্যবধার আরও বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। এবার লং বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন মরক্কোর ডিফেন্ডার রোমাঁ সাইস। আর বল তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় অলিভিয়ের জিরুদের কাছে। বল নিয়ে কিছুটা দৌড়ে বাঁ পায়ে জোরালো শট নেন ফরাসি স্ট্রাইকার। কিন্তু অল্পের জন্য তার পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
খেলার ২০ মিনিট পার হওয়ার আগেই বড় ধাক্কা খায় মরক্কো। শুরু থেকেই অস্বস্তি নিয়ে খেলতে থাকা দলটির অধিনায়ক রোমাঁ সাইস ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার বদলে নামেন মিডফিল্ডার সেলিম আমাল্লাহ। এরপর মরক্কোর খেলা কিছুটা অগোছালো হয়ে পড়ে। এই সুযোগে ফ্রান্স দুটি সুযোগ পেয়ে যায়। একবার কর্নার কিক থেকে জায়গামতো বল পেয়েও পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন। পরের মিনিটে জিরুদের শট বাঁ পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। বাকি সময় বলার মতো কোনো আক্রমণ শানাতে পারেনি কোনো দলই।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
এমএইচএম