শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি বসুন্ধরা কিংসের। কেননা পাল্লা দিয়ে লড়াই করছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় এদিন দলের সেরা তারকা রবসন রবিনহোকে ছাড়াই মাঠে নামতে হয় কিংসকে। কার্ড নিষেধাজ্ঞার কারণে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান দলীয় অধিনায়ক। তবে আক্রমণভাগে তার অভাব খুব একটা টের পেতে দেননি দরিয়েলতন-গফুরভরা।
তবে ম্যাচে প্রথম সুযোগটি পায় শেখ জামাল। ১৬ তম মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের ডান পায়ের জোরালো শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। এরপর তিন মিনিটের ব্যবধানে আরও দুটি কর্নার পায় শেখ জামাল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
১৯ মিনিটে বক্সের বাইরেই ফাউলের শিকার হন রাকিব; ফ্রি-কিক পায় বসুন্ধরা কিংস। দামাসেনার সরাসরি গোলপোস্টে নেয়া শট তালুবন্দী করেন শেখ জামালের গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাইম।
৩৭ মিনিটে দলীয় আক্রমণের ফলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। রিমন হোসেনের ক্রস হেডে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন শেখ জামাল অধিনায়ক রায়হান হাসান। সেই বল খুঁজে নেয় বক্সের বাইরে থাকা দামাসেনাকে, তার পাস থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়ান আসরর গফুরভ। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে শেখ জামাল। অন্যদিকে ব্যবধান বাড়াতে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে কিংসও। ৫৯ মিনিটে ওতাবেকের শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন গোলরক্ষক জিকো। পরের মিনিটেই পালটা আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দরিয়েলতন। দামাসেনার বাড়িয়ে দেয়া বল থেকে দূরপাল্লার শটে গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
৭২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন দরিয়েলতন। বক্সের মধ্যে রাকিবের কাটব্যাক থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে যান তিনি। ডান পায়ের শটে ব্যবধান ৩-০ করেন এই ফরোয়ার্ড।
৭৬ মিনিটে নবাবের উঁচু শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে ব্যবধান কমাতে পারেনি শেখ জামাল। বাকিটা সময় তাদের তেমন কোনো সুযোগ দেয়নি কিংস। ৯ ম্যাচে ৯ জয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে শেখ জামাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এআর/এএইচএস