আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুরুষ ফুটবল দলের পারফরম্যান্সে মোটেও সন্তুষ্ট নন ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন। তার মতে, আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তোলার মতো ফিট নন ৬০ শতাংশ ফুটবলার।
আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাফুফে ভবনে তিনি বলেন, ‘(জাতীয় দলের) ৬০ শতাংশ ফুটবলারেরই আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তোলার মতো ফিটনেসে নেই। ’
বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দল এবং পুরুষ ফুটবল দলের অর্জনের তালিকায় বর্তমানে বিস্তর ফারাক। নারী ফুটবল দল যেখানে বয়সভিত্তক সাফ থেকে শুরু করে সিনিয়র সাফেও শিরোপা জয় করছে; সেখানে পুরুষ দলকে গ্রুপ পর্বের গন্ডি পার করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর পেছনে মূলত খেলোয়াড়দের ফিটনেস-সমস্যাকে দায়ী করা হয়।
এর দায় অবশ্য ক্লাবগুলোর ওপরই দিচ্ছেন কাজী সালাউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘একেক ক্লাব একেকভাবে খেলোয়াড়দের তৈরি করে। বসুন্ধরা কিংস ভালো করছে। তাদের পেছনে রয়েছে আবাহনী। আমরা ঘরোয়া ফুটবল থেকে খেলোয়ড়দের জাতীয় দলে আনি। এরপর তারা এক সঙ্গে খেলার সুযোগ পায় কম। তখন তাদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করবো নাকি অন্য বিষয়ে জোর দেবো। ’
ঘরোয়া ফুটবলে যে মানের খেলা হয় তা দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করা কঠিন বলে মনে করেন বাফুফে সভাপতি, ‘ঘরোয়া পর্যায়ে যারা ভালো পারফরম্যান্স করে, তারাই জাতীয় দলে ডাক পায়। ঘরোয়া লিগের ফিটনেসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফিটনেসের তারতম্য রয়েছে। ’
নারী ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘মেয়েদেরটায় আমাদের সুবিধা হচ্ছে, ওরা সারা বছর আমাদের সঙ্গে থাকে। ফিটনেসের ওপর আমি কাজ করছি, সবকিছু আমি করি। কিন্তু ছেলেদের আমি পারি না। জাতীয় দল নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। জাতীয় দলকে ভালো করতে হলে ক্লাবগুলোকে ভালো করতে হবে, সমর্থ হতে হবে। আমার কাছে যদি টাকা থাকত, আমি ২৫টা প্লেয়ার কিনে নিতাম, মেয়েদের মতো ছেলেদেরও একটা দল দাঁড় করাতাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩
এআর/এমএইচএম