বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল থেকে অবসর নেন হুগো লরিস। ফ্রান্সকে দীর্ঘসময় ধরে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছিলেন তিনি।
অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচেই জোড়া গোল করেন এমবাপ্পে, সঙ্গে করিয়েছেনও একটি। স্তাদ দ্য ফ্রান্সে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এমবাপ্পের পাস থেকে প্রথম স্পর্শেই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন অন্তোয়ান গ্রিজমান। দলের অন্যতম সিনিয়র সদস্য হয়েও অধিনায়কত্ব না পাওয়ায় কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তিনি বলে জানিয়েছিল বেশ কয়েকটি ফরাসি সংবাদমাধ্যম। কিন্তু মাঠে এর ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না।
অষ্টম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দায়োত উপামেকানো। যদিও বেশ অদ্ভুত একটি গোল করেছেন, যেখানে তার কোনো নিয়ন্ত্রণই ছিল না। গ্রিজমানের ফ্রি-কিক থেকে ভাসানো বল সোজা গিয়ে লাগে ডাচ গোলরক্ষকের হাতে। কিন্তু ঠিক গোলরক্ষকের সামনেই ছিলেন উপামেকানো। তাই বল তার পা ছুঁয়ে জালে আশ্রয় নেয়।
শুরুতেই চাপে পড়ে যাওয়া নেদারল্যান্ডস আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তাই দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বের শুরুটা সুখকর হলো না কোচ রোনাল্ড কোমানের। যদিও ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে প্রথম সারির পাঁচ ফুটবলারকে ছাড়াই একাদশ সাজাতে হয় তাকে।
২২ মিনিটে অরেলিয়ে চুয়ামেনির পাস থেকে ব্যবধান ৩-০ করেন এমবাপ্পে। এরপর ৮৮ মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ও ফ্রান্সের জার্সিতে ৩৮ তম গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। ছাড়িয়ে যান ৩৭ গোল করা করিম বেনজেমাকে।
ম্যাচ শেষে নেতৃত্বের অনুভূতি নিয়ে এমবাপ্পে বলেন, ‘স্বাভাবিক, স্বাভাবিক... নিজের কাজটা করে যাবো, দলকে সাহায্য করব এবং অন্যদের সঙ্গে নিয়ে চেষ্টা করব পার্থক্য তৈরি করার। আজ সেটা কাজে দিয়েছে তবে এটা কেবলই শুরু। কিন্তু আমাদের উৎসাহী হলে চলবে না। এখনো কঠিন কাজটুকু করা বাকি আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
এএইচএস