ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

একজন ফুটবলার হিসেবে আমি লজ্জিত: বাবলু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
একজন ফুটবলার হিসেবে আমি লজ্জিত: বাবলু

বাংলা নববর্ষের দিনে দেশের ফুটবলের সবচেয়ে কলঙ্কিত এক অধ্যায়ের সাক্ষী হতে হলো পুরো দেশবাসিকে। আর্থিক অনিয়মের কারণে দুই বছরের জন্য বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে ফুটবলীয় সকল কার্যক্রম থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা।

 

এই নিষেধাজ্ঞা দেশের ফুটবল এবং ফুটবলারদের জন্য লজ্জার বলে মনে করেন সাবেক ফুটবলার এবং সাবেক বাফুফে সদস্য হাসানুজ্জামান খান বাবলু। একসময় কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে ফুটবল খেলেছেন বাবলু। ২০০৮-১২ মেয়াদের নির্বাহী সদস্য বাবলু পরে বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাবের প্রেসিডেন্ট তিনি।  

বাফুফের সাধারণ সম্পাদকের নিষেধাজ্ঞা দেশের ফুটবলের জন্য সবচাইতে বড় কলঙ্কিত অধ্যায় বলে মনে করেন বাবু। তিনি বলেন, ‘আমি যা কিছু হয়েছি এই ফুটবল খেলেই হয়েছি। ফুটবলার হিসেবে আমি দেশের সবোর্চ্চ সম্মানও পেয়েছি। ফুটবলার হিসেবে সকলের সামনে আমি গর্ব নিয়ে কথা বলতাম। কিন্তু এখন আর সেই গর্বের জায়গাটা থাকছে না। এই ঘটনার পর ফুটবলার হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেও লজ্জা লাগছে। কারণ গতকাল যে ইতিহাস হলো, এই ইতিহাস ফুটবলার হিসেবে আমার জন্যও বিশাল লজ্জার, অপমানের। ’

দেশের এই কলঙ্কিত অধ্যায়ের জন্য শুধু আবু নাঈম সোহাগতে শাস্তির আওতায় আনলে হবে না বলে মনে করেন বাবলু। মতে এর পেছনে যে যে জড়িত আছে সকলকেই শাস্তির আওতায় আনা উচিত। অন্যথায় দেশের পরবর্তী প্রজন্ম কাউকে ক্ষমা করবে না ফুটবল ধংসের জন্য।  

বাবলু বলেন, ‘ফুটবলের কর্ণধার হিসেবে যিনি বসে আছেন, তিনি এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন ফুটবলার ছিলেন, তার হাত ধরেই গত ১৫ বছরে ফুটবলটা যেখানে চলে গেছে, সেটাকে অহংকার হিসেবে নিয়ে উনি যেভাবে এই মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন, আমি মনে করি কাল ফিফা প্রমাণ করে দিয়েছে যে বাংলাদেশের ফুটবলে দুর্নীতির কারণে তোমাদের শাস্তি দেওয়া হলো।  

‘এই শাস্তি থেকে আমাদের ফুটবলের আজকে যে পেইড সেক্রেটারি, আবু নাঈম সোহাগকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, আমি মনে করি এটা যথেষ্ট নয়। কারণ সেক্রেটারি, তার কমিটির প্রধান যারা, দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা, নির্বাচিত যারা, তাদের কথার বাইরে কোনো কিছু করতে পারেন না। তিনি পারেন, এটা বুঝালে তো আমি বুঝব না! সেক্রেটারি, তার প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, বোর্ড মেম্বারদের কথারই প্রতিফলন ঘটিয়েছে। ’

সাবেক এই ফুটবল আরও বলেন, ‘তাদের (সোহাগদের) খুশি রাখতেই যত রকম অনিয়ম-দুর্নীতি, সব ধরনের নিয়মের বত্যয় ঘটিয়েছে। আমার মতে, শাস্তিটা শুধু সোহাগকে দিলে হবে না...। আমি মনে করি, আমি আজ আছি, কাল নেই, কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।