আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। তার নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য লজ্জার এবং হতাশার বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বিভিন্ন বিষয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমের ওপর দায় চাপাতেন। তার দাবি ছিল, নেতিবাচক খবরের জন্য ফুটবল ফেডারেশনের ভাবমূর্তি সংকটের মুখে পড়ে। এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অবস্থান তার বিপরীত, ‘গণমাধ্যমের রিপোর্টই প্রকৃত অর্থে সত্য হলো। আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যম সবসময় সোচ্চার ছিল। ’
বাফুফের অন্যায় আজ প্রমাণিত বলে মন্তব্য করেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন যে তারা (বাফুফে) অন্যায়গুলো করেছে, এটা আজ প্রমাণিত। তারা যে আমাদের ভাবমূর্তির সংকটে ফেলেছে, এতে আমরা খুবই লজ্জিত এবং আমি মনে করি এধরনের মানুষের বিচার হওয়া উচিত। ’
শুধু সোহাগের ওপর নিষেধাাজ্ঞা আসায় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তার মতে, এই নিষেধাজ্ঞা বাফুফের ওপর এলে সেটা পুরো দেশের ফুটবলের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারতো। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে তারা কিন্তু মারাত্মকভাবে নষ্ট করেছে। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, ফিফা ব্যক্তির ওপর দিয়ে বিষয়টি নিয়েছে। যদি পুরো বাংলাদেশের ফুটবলকেই নিষিদ্ধ করতো, তাহলে সেটা হতো আরও বেশি লজ্জার। ’
সাধারণ সম্পাদকের এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে এটা অন্তত পরিস্কার, পুরো বাফুফের কর্মকাণ্ড মোটেও স্বচ্ছ নয়। সরকার এখানে ফেডারেশনটির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হস্তক্ষেপের কারণে যদি আরও বড় ক্ষতি হয়, সেটা আমরা কেউই চাই না। ফিফা যদি অনুরোধ করে, তাহলে অবশ্যই অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তিতে ব্যবস্থা নেব। তবে ফুটবলের ওপর আমরা কোনোভাবেই অযাচিত হস্তক্ষেপ করবো না। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এআর/এমএইচএম