কাগজ জালিয়াতি এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা (ফিফা)। বাফুফেতে সভাপতির পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক।
এরইমধ্যে বাফুফে ভবন থেকে সোহাগের নামফলক তুলে ফেলা হয়েছ। এবার সেখানে কার নাম বসতে চলেছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আগামীকাল জরুরি বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক নিষিদ্ধ হয়েছেন। পরদিন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বাফুফে ভবনে এসে জানিয়েছেন তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া। তখনই বলেছিলেন, জরুরি সভা শেষেই জানা যাবে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। আগামীকাল সোমবার সেই গুরুত্বপূর্ণ জরুরি সভা বসছে বিকেল চারটায়।
সভার এজেন্ডা হলো, সাধারণ সম্পাদক নিষিদ্ধ হওয়ায় বাফুফের করণীয়। গুরুত্বপূর্ণ ওই চেয়ারে কাকে বসাবে বাফুফে? নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। যে কারণে, প্রশাসনিক কাজ চালিয়ে নিতে কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দিতে পারে বাফুফের নির্বাহী কমিটি।
নিষিদ্ধ হওয়া আবু নাইম সোহাগও প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। বাফুফের প্রথম বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দেশের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক আল মুসাব্বির সাদী পামেল। ২০১১ সালে পামেলের মৃত্যুর পর তৎকালীন ম্যানেজার (কম্পিটিশেন) মো. আবু নাইম সোহাগকে করা হয়েছিল ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। এক বছর পরই তিনি পূর্ণাঙ্গভাবে পেয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এআর/এমএইচএম