সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না চেলসির। লিগের বার বার হারার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকেও বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
ক্যানেল প্লাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটা আর আগের সেই ক্লাব নেই। আমি আমার ক্লাবকে চিনতে পারছি না। নতুন মালিক এসেছেন এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও নতুন। ’
মূলত চেলসির মালিকানা পরিবর্তনের পর থেকেই শুরু হয় ক্লাবটির পতন। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজন্য সরকারের সমস্যা বাধলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় ২০০৩ সালে ক্লাবটি কিনে নেওয়া ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। ফলে নিজের ক্লাব বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন তিনি। এরপর ৪২৫ কোটি পাউন্ডে ক্লাবটি কিনে নেন আমেরিকান বিনিয়োগকারী বোহলি ও ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটাল নামের একটি ফার্ম।
মালিকানা পরিবর্তনের পর থেকে ক্লাবের অভ্যন্তরেও পরিবর্তন এসেছে অনেক। প্রথমে কোচ এরপর দলবদলে একের পর এক ফুটবলার কিনেও সফলতার মুখ দেখছে না চেলসি। টমাস টুখেলকে বরখাস্ত করে শুরু হয়, এরপর আসেন গ্রাহাম পটার। তিনিও থাকতে পারেননি খুব বেশি সময়। এখন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। তবে করতে পারছেন না ভালো কিছু।
এতসব পরিবর্তন ও অনিয়মে বিরক্ত দ্রগবা। তিনি বলেন, ‘৩০ জন খেলোয়াড়ের একটি ড্রেসিং রুম পরিচালনা করা কঠিন, সেটা যেকোনো কোচই হোক না কেন। আব্রামোভিচ যুগের সঙ্গে যদি তুলনা করার চেষ্টা করি, সেখানে অনেক খেলোয়াড় ছিল, তবে পছন্দগুলো খুবই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করা হয়েছিল। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
আরইউ