বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্র বিশেষ করে ফুটবলকে এগিয়ে নিতে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন ফুটবল প্রশিক্ষক আজ (৭ মে) রোববার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং ঢাকার কয়েকটি প্রধান স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল প্রশিক্ষক শেলাস হাইন্ডম্যান এবং ভ্লাস্টিমির ডেভিডভিচ, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকায় এসেছেন এবং বাফুফে প্রাঙ্গণ থেকে তাদের সপ্তাহব্যাপী শুভেচ্ছা সফর শুরু করেছেন।
সাংবাদিকদের মার্কিন ফুটবল প্রশিক্ষক শেলাস বলেন, ‘এত বেশি মিডিয়া আসবে আমি ভাবিনি। এর দ্বারা ফুটবলের প্রতি আপনাদের সমর্থনটা আঁচ করা যায়। এমএলএসে (মেজর লিগ সকার) এফসি ডালাসের কোচ হিসেবে কাজ করেছি আমি ৬ বছর। একটা অনুশীলন সেশনের পর আমি এতটা বেশি মনোযোগ কখনোই পাইনি। এখানে আসতে পেরে আমি খুব বেশি খুশি ও সম্মানিত বোধ করছি। এখানে আসতে যখন বলা হলো আমাকে, আমি ৫ মিনিটেই হ্যাঁ বলে দিয়েছি। কারণ আমি আমার জ্ঞানটা অন্য দেশের লোকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। ’
দেশের ফুটবলারদের প্রশংসা করে শেলাস বলেন, ‘সত্যি বলতে, এখানকার ফুটবলাররা এত ভালোমানের হবে, এটা আমি ভাবিনি। মেয়েদের অ্যাটিটিউড, টেকনিক্যাল সক্ষমতা, ফোর ভি ফোর সেশনে আমি দেখেছি তাদের ট্যাকটিকাল জ্ঞানটাও ভালো। এই কোচের অধীনে তারা খেলেছে, তারা উন্নতি করতে থাকবে আশা করি, গর্বের সঙ্গে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করবে বলে আশা করি আমি। এই মেয়েদের নিজেদের ফুটবল সক্ষমতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ ভালো। তবে সেজন্য তাদের ইংরেজি ভাষার বোঝাপড়াটা বাড়াতে হবে। কারণ তাদের শেখানো হবে ইংরেজি ভাষায়। ’
ডেভিডভিচ বলেন, ‘কোচ শেলাস আর আমি, আমরা এখানে এসেছি যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্টের পৃষ্ঠপোষকতায়। আমরা এখানে এসেছি কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের জন্য, এখানকার তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলার জন্য, আমাদের জ্ঞানটা তাদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের জীবনে যা শিখেছি, তাই তাদের শেখাতে...সঙ্গে এখানকার সংস্কৃতি থেকে কিছু শিখতেও। বড় পরিসরে, বিষয়টা ছিল সংস্কৃতিগত বাধাটা ভাঙার জন্য। ’
নারী দলের সঙ্গে অনুশীলন করে তাদের নিয়ে আশাবাদী ডেভিডভিচও। তিনি বলেন, ‘যদি আমি সত্যি বলি, আমি কল্পনাও করিনি আমরা যা দেখেছি। মেয়েদের টেকনিক্যাল জ্ঞান খুবই ভালো। যদিও খুবই কম সময় পেয়েছি পর্যবেক্ষণের জন্য। তবে তাতেই আমি মুগ্ধ হয়েছি, তারা কেমন নিঃস্বার্থ ছিল এটা দেখে। তারা যেভাবে বল পাস দিয়েছে আশেপাশে, তাতেই তাদের ভাবনাটা বুঝতে পারা গেছে। তারা পাস নেওয়ার আগে ধারণাটা নিজেদের মনে গেঁথে নেয়। বিষয়টা বেশ ভালো; আমি নিজে এমন পরিবেশে ১৫ বছর বয়সী নারী খেলোয়াড়দের এমন পারফর্ম্যান্স দেখার কল্পনাও করিনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এআর/এমএইচএম