চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে বাকি ছিল আরও এক বছর। কিন্তু কাজের পরিবেশ না থাকায় পদত্যাগ করলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি।
গত এপ্রিলে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে আর্থিক অনিয়মের কারণে নিষিদ্ধ করে ফিফা। এরপরই গুঞ্জন উঠে পদত্যাগ করবেন স্মলি। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজেও তা জানিয়েছিলেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘পল স্মলি (বাফুফে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর) আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর থাকছেন না। ’
সেটাই সত্যি হলো আজ। পদত্যাগের কারণ হিসেবে আজ সাংবাদিকদের স্মলি বলেন, ‘আমি গত প্রায় দেড় মাস যাবত সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করছিলাম। কিছু বিষয় পরিবর্তনের জন্য। তিনি আমার পয়েন্টগুলো যৌক্তিক বললেও এটি স্থায়ীভাবে করতে সময় চেয়েছিলেন। সেই বিষয়গুলো পরিবর্তন না হওয়ায় আমি চলে যাচ্ছি।
পল আরও যোগ করেন, ‘আমি কখনোই বর্তমান চুক্তির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করিনি। কাজের পরিবেশ ও ব্যাপকতা নিয়েই আলোচনা হয়েছে গত দেড় মাস। বাফুফের বিভাগগুলো পূনর্গঠন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে আমার টেকনিক্যাল বিভাগে আরও বিশেষজ্ঞ লোক দরকার। সেখানে মাত্র দুইজন এক্সিকিউটিভ। ফিন্যান্স বিভাগও জোরদার করা প্রয়োজন। ’
সোহাগ কাণ্ডের কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্মলি, ‘ফিফা ৫০ পাতার একটি বিশাল রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্টে কারা কারা যুক্ত সবই বর্ণনা রয়েছে। ফিফা যে প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-অসঙ্গতি রয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমি থাকতে পারি না। ফিফার রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কোন চারজন জড়িত। বাফুফে তাদের বিপক্ষে এখনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ’
২০১৬ সালে স্মলিকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয় বাফুফে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৯ সালে চলে যান তিনি। এক বছর পর আবারও তাকে দায়িত্বে ফেরায় বাফুফে। এই চুক্তিতে তার মেয়াদ ছিল আগামী বছরের আগস্ট পর্যন্ত। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ১৬ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পেতেন ৫৬ বছর বয়সী স্মলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এএইচএস