দলবদলের মৌসুম চলছে এখন। বরাবরের মতো এবারও আলোচনার ‘হট টপিক’ নেইমার।
ব্রাজিলিয়ান ইউটিউবার কাসিমিরোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেন, ‘আশা করি (এই মৌসুমে) পিএসজিতে থাকব। আমার চুক্তি আছে পিএসজির সঙ্গে এবং এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে কিছুই বলেনি। আমি শান্ত আছি, যদিও খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে খুব একটা ভালোবাসার বন্ধন নেই। তবে ভালোবাসা থাকুক বা না থাকুক, আমি পিএসজিতে থাকব (হাসি)। ’
লম্বা সময় ইনজুরিতে থাকার পর নতুন মৌসুমের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন নেইমার। ইতোমধ্যেই অনুশীলনে ফিরেছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে যান এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, ‘খুবই বিরক্তিকর এক ইনজুরি, যা আমাকে প্রচুর জ্বালিয়েছে। প্রক্রিয়াটা খুব যন্ত্রণাদায়ক এবং কঠিন ছিল। তবে আমি যেদিকে তাকিয়ে ছিলাম সেটা হলো ভালোভাবে শান্ত থেকে ফিরে আসে, অনুশীলন ভালো করা এবং তারপর ভেবে নেব পরের মৌসুমে কী করতে হবে। অবশ্যই জয়ই সবসময় লক্ষ্য হিসেবে থাকে। তবে আমি আবারও ভালো খেলতে চাই, সেটাই প্রথম উদ্দেশ্য আমার। ’
গত দুই মৌসুমে পিএসজির দল ছিল তারকায় ভরপুর। নেইমার ছাড়াও আক্রমণে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসি। কিন্তু এই আক্রমণত্রয়ী পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে পারেনি। নেইমার জানালেন তাদের ব্যর্থ হওয়ার কারণ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের খুব শক্তিশালী দল ছিল। আমি, মেসি, এমবাপ্পে— তিনজনই বিশ্বসেরা বলে আমরা জানি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা খাপ খাইয়ে নিতে পারিনি। ’
সেই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গও। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল ব্রাজিল। এরপর টানা পাঁচদিন কেঁদেছিলেন নেইমার। চেয়েছিলেন অবসর নিতে।
তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে বিশ্বকাপের পর আমি আর (জাতীয় দল) ফিরতে চাইনি। কিন্তু নতুন করে আবারও ভাবতে হয়েছে। আমি তো সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত, তা-ই না? তাই ওই ভাবনা পুনর্বিবেচনা করে পাল্টাতে হয়েছে। বিশ্বকাপের পর আমি আর কষ্ট পেতে চাইনি। কিন্তু পরিবারকে ভুগতে দেখাটাও কষ্টকর। ’
‘আমি টানা পাঁচ দিন কেঁদেছি। ওভাবে স্বপ্ন চূর্ণ হওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। ০–০ ব্যবধানে থেকে টাইব্রেকারে ম্যাচ হারব এবং কোনো গোল করব না— সেটা মেনে নিতে রাজি আছি; কিন্তু গোল করব, এরপর গোল হজম করে টাইব্রেকারে হারব— সেটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
এএইচএস