বজ্রপাত ও বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয় প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো। মায়ামির আকাশ থেকে ঝড় চলে গেলেও মাঠে ঠিকই ঝড় তোলেন লিওনেল মেসি।
অথচ এই মায়ামি একটা সময় ধুঁকছিল। জয়ের স্বাদ কেমন হয় সেটা ভুলেই যেতে বসেছিল তারা। কিন্তু মেসির জাদুর ছোঁয়া পাওয়ার পর রীতিমত বদলে ফেলেছে নিজেদেরকে। ফিরেছে জয়ের ধারায়।
ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে শেষ বত্রিশের খেলায় ম্যাচের সপ্তম মিনিটে মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। রবার্ট টেলরের ভাসানো বলটি বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণের পর দারুণ ভলিতে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
তবে ১০ মিনিট পরই সমতায় ফিরে আসে অরল্যান্ডো। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকে মায়ামির হাতে। ৫১ মিনিটে পেনাল্টি পায় মায়ামি। শটটি মেসিরই নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেসি নিজ থেকেই সতীর্থ জোসেফ মার্তিনেসকে শট নিতে বলেন। মার্তিনেস অবশ্য দলকে এগিয়ে নিতে কোনো ভুল করেননি। ৭২ মিনিটে আবারও ভলিতে গোল করেন মেসি। এবার গোলপোস্টের খুব কাছ থেকেই ডান পায়ে শট নেন তিনি। সেই গোলের পর মার্ভেল সুপারহিরো ‘ব্ল্যাক প্যান্থারে’র মতো উদযাপন করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এর আগের ম্যাচে গোলের পর ‘ট্রিবিউট’ জানিয়েছিলেন আরেক সুপারহিরো ‘থর’কে।
ম্যাচের বাকিটা সময় জাল অক্ষত রেখেই মাঠ ছাড়ে মায়ামি। এদিকে এই ম্যাচ দিয়ে মায়ামির জার্সিতে অভিষেক হয় জর্দি আলবার। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে মাঠে নামেন তিনি। আগামী ৬ আগস্ট শেষ ষোলোর খেলায় এফসি ডালাসের মুখোমুখি হবে মায়ামি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৩
এএইচএস