ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু, কষ্ট বুকে চেপে দলকে বিশ্বকাপের নকআউটে নিলেন তিনি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৩
পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু, কষ্ট বুকে চেপে দলকে বিশ্বকাপের নকআউটে নিলেন তিনি

গত বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে প্রত্যেকটি ম্যাচেই হারতে হয়েছিল। তাই এবারের আসরে জয়ের খোঁজেই এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

তা মিলেছেও বটে, তবে এই জয় তাদেরকে জায়গা করে দিয়েছে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে র‍্যাংকিংয়ে ৩৮ ধাপ এগিয়ে থাকা ইতালির বিপক্ষে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয় পায় তারা।

স্বপ্নের জগৎ বলে যদি কিছু থাকে, তাহলে এই মুহূর্তে ঠিক সেখানেই বাস করছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। এমনটাই মনে হচ্ছে অধিনায়ক থেম্বি কাগাতলানার। আপনজন হারানোর কষ্ট বুকে চেপে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ইতালির বিপক্ষে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে জয়সূচক গোলটি আসে তার পা থেকেই।

শেষ ষোলোয় উঠে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক জানালেন, তার জীবনের মর্মান্তিক গল্প। তিনি বলেন, ‘আমি খুব আবেগী হয়ে পড়েছি। গত তিন সপ্তাহে আমি পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়েছি। আমি বাড়ি ফিরে যেতে পারতাম, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েছি সতীর্থদের সঙ্গে থাকার। কারণ আমার এখানে থাকাটা গুরুতপূর্ণ ছিল। ’

ইনজুরি থেকে ফিরেছেন খুব বেশিদিন হয়নি। গোড়ালিতে চোট পেয়ে ১০ মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যান কাগাতলানা। গত মে মাসে খেলায় ফিরে বিশ্বকাপের জন্য ব্যাকুল হয়ে ছিলেন তিনি, ‘গুরুতর এক ইনজুরি থেকে ফিরে এসেছি আমি এবং প্রতিটি মেয়ে যারা কি-না এখানে খেলতে চায়, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ইতিহাস গড়তে চায়, তাদের জন্য দেশের হয়ে খেলতে মুখিয়ে ছিলাম আমি। এটা সবার প্রাপ্য। ’

‘শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, দেশে থাকা ৬৩ মিলিয়ন মানুষ ও এখানে (ওয়েলিংটনে) থাকা সবার জন্য প্রত্যেকবার আমি এই জার্সি পরি। আমি শুধু নিজেকে প্রতিনিধিত্ব করি না। ক্লাবসহ পরিবার ও মেয়েদেরও প্রতিনিধিত্ব করি। আমরা এখানে যা করেছি... তা এখনো সত্যি মনে হচ্ছে না। ’

শেষ ষোলোয় উঠায় এখন দ্বিগুণ প্রাইজমানি (৬০ হাজার ডলার) পাবে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। প্রাইজমানির সেই অংক শুনে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার মতো অবস্থা তাদের। বানিয়ানা গোলরক্ষক কেলিন সোয়ার্ট বলেন, ‘এটি (প্রাইজমানি) আমাদের জীবন বদলে দেবে। এমন অর্থ কেবল স্বপ্নেই চাইতে পারি আমরা। দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ফুটবল পেশাদার নয়। তাই আমরা সত্যিই পারিশ্রমিক পাই না। ’
‘আমি পূর্ণকালীন চাকরি করি। দিনে ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কাজ করার পর রাতে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত অনুশীলন করি। দক্ষিণ আফ্রিকায় ফুটবলার হয়ে উঠা কঠিন। খেলাটির প্রতি ভালোবাসার জন্য যা করতে পারি, আমরা সেটাই করি এবং আশা করি একদিন আমরা পেশাদার হবো। ’

এদিকে, শেষ ষোলোয় নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৩
এএইচএস 


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।