ঢাকা, বুধবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মোরসালিনের গোলে হার এড়ালো বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
মোরসালিনের গোলে হার এড়ালো বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ১-১ গোলে ড্র্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় জাবের সার্জার গোলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা।

তবে দলকে সমতায় ফেরান তরুণ তারকা শেখ মোরসালিন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে আজ (৭ সেপ্টেম্বর) প্রথমার্ধে তেমনটা করতে পারেননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। প্রথমার্ধে তেমন উল্লেখযোগ্য গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনও দলই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় দুই দলেরই খেলার ধরন।

প্রথমার্ধে মাঠের খেলার পাশাপাশি উত্তাপ ছড়িয়েছে ডাগআউটেও। দুটি লাল কার্ড সহ চারটি হলুদ কার্ড  দেখাতে হয়েছে রেফারিকে। লাল কার্ড দুটি দেখেছেন বাংলাদেশের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন এবং আফগানিস্তানেরর কোচ আবদুল্লাহ আলমুতাইরি।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে আফগানিস্তান। ধীরে ধীরে ম্যাচের সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণ সামলে আক্রমণে উঠতে থাকে বাংলাদেশও।  

ম্যাচের ১৭ মিনিটে বাংলাদেশের ফুটবলারকে ফাউল করেন আফগানিস্তানের মাহবুব হানাফি। এরপর বাকবিতণ্ডায় জড়ান দুই দলের খেলোয়াড়রা। উত্তাপ ছড়ায় ডাগ আউট পর্যন্ত। উত্তেজিত হয়ে এগিয়ে আসেন আফগানিস্তানের কোচ আবদুল্লাহ আলমুতাইরি।  

রেফারি এবং অফিশিয়ালদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বাংলাদেশের সহকারি কোচ হাসান আল মামুন এবং আফগানিস্তানের কোচকে লাল কার্ড দেখান রেফারি প্রজোল ছেত্রী। উত্তেজিত হয়ে খেলোয়াড়দেরও মাঠ ছেড়ে আসার ইশারা করেন মুতাইরি। পরের মিনিটেই হলুদ কার্ড দেখেন সোহেল রানা।

আজ বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল আগে থেকেই। ম্যাচের ৩০ মিনিট পার হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি।  ম্যাচের ৪০ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে রাকিবের জোড়ালো শট ফিরিয়ে দেন আফগান গোলরক্ষক।

৪৫ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়েছিলেন জামাল ভূঁইয়া। তার শট প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে ফিরে আসলে আর গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।  

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় দুই দল। ৫২ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন জাবের সার্জা। ওমিদ পোপালজায়ের কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড থেকে দলকে এগিয়ে দেন সার্জা। তার হেড ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক জিকো। তবে তার হাতে লেগে বল জালে জড়ায়।

৬২ মিনিটে মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে বিশ্বনাথ ঘোষকে বল দেন রাকিব। ডি বক্সের ডান প্রন্ত থেকে মোরসালিনকে ক্রস দেন তিনি। আলতো টোকায় গোল করতে ভুল করেননি মোরসালিন । ৬৮ মিনিটে রাকিবের ক্রসে বল পেয়েছিলেন জামাল। তার হেড ফিরিয়ে দেন আফগান ডিফেন্ডার। ফিরতি বলে জামালের শট সেই ডিফেন্ডারের হাতে লাগলেও খেয়াল করেননি রেফারি। বাংলাদেশের পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন তিনি।  

এর দশ মিনিট পরেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। রাকিবের কাটব্যাকে ঠিকঠাক পা লাগাতে পারেননি মোরসালিন।  ৮৪ মিনিটে রাকিবের কর্নার থেকে হেড করেন বিশ্বনাথ ঘোষ। আফগান ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে আবারও কর্নার পায় বাংলাদেশ। এই যাত্রায় দারুণ গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোল পায়নি বাংলাদেশ। তপু বর্মনের হেড ঝাপিয়ে ফিরিয়ে দেন আফগান গোলরক্ষক।  

পরের মিনিটেই সতীর্থের লম্বা ক্রস থেকে বল পান জামাল। বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে যান তিনি। তবে তার শট ফিরিয়ে দেন আফগান গোলরক্ষক ফায়সাল। শেষ দিকে আফগানিস্তানকে চেপে ধরলেও জয়সূচক গোলের দেখা মেলেনি স্বাগতিকদের।  

এই নিয়ে ৯ ম্যাচে মুখোমুখি হলো দুই দল। বাংলাদেশের জয় একটিতে। আফগানিস্তান জিতেছে ২টি ম্যাচে। বাকি ছয় ম্যাচ ড্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৩
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।