ফিফার তদন্ত রিপোর্টের ওপর অধিকতর তদন্ত করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের নেতৃত্বে হওয়া সেই অধিকতর তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে আজ।
সোহাগের বিষয়টি ছাড়াও তদন্তে সামনে এসেছে আরও বেশ কিছু দূর্নীতি। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের স্বাক্ষর জাল করা। ক্রীড়া সরঞ্জাম ক্রয়ের বিষয়ে ফিফার তদন্ত চলাকালে সে সময়ের বেশ কিছু কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে তড়িঘড়ি করে জাল যে কাগজপত্র সেখানে পাঠানো হয়েছে, তাতে বাফুফে সভাপতি ও সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর স্বাক্ষর জাল করা হয়। তাদের স্বাক্ষর স্ক্যান করে সেসব কাগজে বসানো হয়। বাফুফের তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তারা নিশ্চিত করেছেন, এ ক্ষেত্রে তাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি।
বাফুফের এই তদন্ত রিপোর্টে সোহাগের পাশাপাশি ম্যানেজার (অপারেশন) মিজানুর রহমান, সহ অর্থ কর্মকর্তা অনুপম সরকার, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়াও গ্রাসরুট ম্যানেজার হাসান মাহমুদ এবং কম্পিটিশনস ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, বাফুফের পরবর্তী নির্বাহী সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত বছরের এপ্রিলে আর্থিক অনিয়ম এবং কাগজ জালিয়াতির দায়ে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। তার বদলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ইমরান হোসেন তুষার। দুই বছরের জন্য ফিফার নিষেধাজ্ঞায় থাকলেও বাফুফেতে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সোহাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২৩
এআর/এমএইচএম