ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

হংকংয়ে দুয়ো শুনলেন মেসি, না খেলার কারণ কী

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
হংকংয়ে দুয়ো শুনলেন মেসি, না খেলার কারণ কী

ম্যাচটিকে ঘিরে সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছিল হংকংয়ের অলিগলিতে। বিশ্বের 'সেরা' ফুটবলার লিওনেল মেসির পায়ের জাদু দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন সেখানকার হাজারো ফুটবলপ্রেমী।

রাস্তায় রাস্তায় শোভা পাচ্ছিল মেসির ছবি সম্বলিত বড় বড় বিলবোর্ড। রেপ্লিকা জার্সি বিক্রি হয়েছে রেকর্ড দামে। রীতিমতো কাড়াকাড়ি চলেছে টিকিটের জন্য।  

ম্যাচ শুরুর আগেই স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। অনেক দর্শকের হাতে প্রিয় খেলোয়াড় মেসির জন্য লেখা প্ল্যাকার্ড, কারও গায়ে মেসির বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি। 'উই ওয়ান্ট মেসি' স্লোগানে প্রকম্পিত গ্যালারি। কিন্তু হায়! যার জন্য এতকিছু, সেই তাকে যে এক সেকেন্ডের জন্যও মাঠে নামতে দেখা গেল না। ইন্টার মায়ামির এমন কাণ্ডে অবাক দর্শকরা শেষদিকে দুয়ো দিতে শুরু করেন খোদ মেসিকে উদ্দেশ্য করেই। দর্শকদের রোষ থেকে বাদ যাননি ক্লাবের অন্যতম মালিক ডেভিড বেকহ্যামও। অনেক দর্শক এমনকি স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় রাগে গজরাতে গজরাতে ফেরত চাইলেন টিকিটের টাকাও।

গত ডিসেম্বরে হংকংয়ের বাছাইকৃত একাদশ বনাম ইন্টার মায়ামি প্রীতি ম্যাচটির টিকিট মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। এরপর কয়েকবার হাতবদল হতে হতে প্রতিটি টিকিটের দাম পড়ে ১২৫ ডলার পর্যন্ত। এই বিপুল চাহিদার কারণ অবশ্যই মেসি। রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি'অর জয়ীর খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু আজ ৪-১ গোলে জেতা ম্যাচে তাকে বেঞ্চ গরম করতেই দেখা গেল। মাঠে নামেননি তার সাবেক বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেসও। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গ্যালারি থেকে মেসিকে মাঠে নামানোর জন্য আওয়াজ উঠতে শুরু করে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ফলে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। একসময় সেই হতাশা রূপ নেয় রাগে। উত্তাল গ্যালারিতে তখন শুধুই দুয়োধ্বনি শোনা যায়।

ম্যাচ শেষে নিজের আসন ছেড়ে উঠে আসেন বেকহ্যাম। সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে দেখে উল্টো গ্যালারিতে বহু দর্শক উল্টো করে বুড়ো আঙুল (থাম্বস ডাউন) দেখাতে শুরু করেন। বহু দর্শক চিৎকার করে টিকিটের অর্থ ফেরত চাইতে শুরু করেন। কিন্তু সবটাই ব্যর্থ হয়েছে। তবে হংকংয়ের সরকার দর্শকদের কষ্ট উপলব্ধি করে এক বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে তারা লিখেছে, 'মেসিকে না খেলানোয় আয়োজকদের ওপর ফুটবল সমর্থকদের মতোই হতাশ সরকারও। ফুটবল সমর্থকদের কাছে এর ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত আয়োজকদের। ' 

মেসি কেন খেললেন না?

মেসির না খেলার কারণ শুরুতে জানা না গেলেও পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ইন্টার মায়ামির কোচ তাতা মার্তিনো। তিনি জানান, 'অতিরিক্ত ঝুঁকি'র কারণে খেলানো হয়নি মেসি ও সুয়ারেসকে। এর আগে আল নাসরের বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র সাত মিনিটের জন্য মাঠে নেমেছিলেন মেসি। মূলত এর পেছনে ফিটনেসের ঘাটতির কথাই জানিয়েছেন মার্তিনো। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমরা জানি মেসি ও সুয়ারেসকে না খেলানোয় দর্শকরা হতাশ এবং এজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। তবে সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে আমাদের চিকিৎসক দলের পরামর্শে। যদি অল্প সময়ের জন্য হলেও তাদের নামানোর সুযোগ থাকতো, আমরা নামিয়ে দিতাম। কিন্তু তাতে অনেক ঝুঁকি ছিল। '

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।