শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনালের মতো আরও একবার অতিরিক্ত সময় চোখ রাঙানি দিচ্ছিল ইংল্যান্ডকে। সেমিফাইনালে পিছিয়ে পড়লেও দ্রুতই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সমতায় ফেরে তারা।
ওয়াটকিন্স-পালমার দুজনকেই ম্যাচের শুরুর একাদশে রাখেননি ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ৮১ মিনিটে বদলি হিসেবে তাদের মাঠে নামান তিনি। এই জুটির হাত ধরেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড।
সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ওয়াটকিন্স গোল যে করবেন, সেটা ভালোভাবেই জানতেন। তা জানিয়েছিলেন পালমারকেও। শুনে হয়তো অবিশ্বাস্য লাগতে পারে যে কারোরই। কিন্তু ওয়াটকিন্স যে কথাটা বললেন সন্তানের কসম কেটেই।
ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক বলেন, 'অবিশ্বাস্য, এমন মুহূর্তের জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করছিলাম আমি। আজ যে পর্যায়ে আছি, সেটার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে এবং সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ এবং সেটা দুহাতে লুফে নেওয়ায় আনন্দিত আমি। '
'নিজের ও সন্তানের প্রাণের কসম কেটে বলছি, আমি কোল পালমারকে বলেছিলাম, আমরা আজ খেলব এবং তুমি আমাকে বল বানিয়ে দেবে। এই কারণেই তার সঙ্গে এতোটা খুশি ছিলাম আমি। জানতাম যে, বল পেলেই সে তা আমাকে দেবে। সেই সময় নিজেকে লোভী হতে হবে, বলে স্পর্শ ও ফিনিশিংটা ভালো ভাবে করতে হবে। যখন দেখলাম সেটি নিচুভাবে কোনার দিকে যাচ্ছে, এর চেয়ে সেরা অনুভূতি আর হয় না। '
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
এএইচএস