পর্তুগালের জার্সিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও পেপে সতীর্থ হিসেবে ছিলেন অনেক বছর। দুজনের জুটি সাফল্য পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদেও।
গতকাল পর্তুগাল ডিফেন্ডারের বিদায় ঘোষণার পর তাঁকে নিয়ে আবেগঘন পোষ্ট দিয়েছেন আল নাসর তারকা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্স'র পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘বন্ধু, তুমি যে আমার কতটা আপন তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমরা একসঙ্গে সবকিছু জিতেছি। তবে সবচেয়ে বড় অর্জন বন্ধুত্ব এবং শ্রদ্ধা। তুমি অদ্বিতীয় আমার ভাই। ’
‘সিআর সেভেন’রোনালদোর চেয়ে বয়সে দুই বছরের বড়। তবে মাঠ বা মাঠের বাইরে বন্ধুত্বের বন্ধনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা পর্তুগালের হয়ে লড়েছেন। একে অপরে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করেছেন। পর্তুগালকে ২০১৬ ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সবশেষ ইউরোতে ফ্রান্সের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেওয়ার পর অঝোরে কেঁদেছেন তারা।
পর্তুগালের হয়ে রোনালদো (২১১) ও জোয়াও মতিনহোর (১৪৬) পর তৃতীয় সর্বোচ্চ (১৪১) ম্যাচ খেলেছেন পেপে। ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ডিফেন্ডার হয়েও ৮ গোল করেছেন। পাশাপাশি ৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন ৪১ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। বিদায় বেলা ইউরোর সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়েরর রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ৪১ বছর ১৩০ দিন বয়সে হাঙ্গেরির গোলরক্ষক গ্যাবোর কিয়ারলির গড়া ৪০ বছর ৮৬ দিন বয়সের রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছেন।
ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারের একটা বড় সময় একসঙ্গে খেলেছেন পেপে ও রোনালদো। রিয়ালে ১০ মৌসুমের ৮টিতে পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ীর সঙ্গে খেলেছেন পেপে। লস ব্ল্যাঙ্কোসদের হয়ে ৩টি করে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন পেপে। সঙ্গে রয়েছে দুটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপও। ক্যারিয়ার শেষ পর্যায়ে খেলেছেন পর্তুগালের ক্লাব পোর্তোর হয়ে। দুই মেয়াদে এই দলের হয়ে জিতেছেন চারটি লিগ শিরোপা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২৪
এমএইচএম