গতকালই বাফুফের নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তাই সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই ফুটবল পাড়ায় বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ।
ঐক্যমতের ভিত্তিতে ব্যানারে লিখে তরফদার রুহুল আমিনের সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণাটি দেন অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ফোরাম কর্তা অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন।
তপন বলেন, ‘জেলা ও ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে তরফদার রুহুল আমিনকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। ফুটবল ফেডারেশন জেলা পর্যায়ে লিগ পরিচালনা করতে সহায়তা করেনি। উনার সহায়তায় জেলায় লিগ হয়েছে। '
একই মঞ্চ থেকে তরফদার রুহুল আমিন জানান, আসন্ন নির্বাচনের প্রার্থীতা তিনি গ্রহণ করেছেন, ‘যে ঘোষণা তারা দিয়েছেন, আমি তা সাদরে গ্রহণ করলাম। ফুটবলের সেই দিনগুলো নেই, হারিয়ে গেছে। ২০০৮ এর পর ফুটবল তলানিতে গেছে। ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দল। এরপর থেকে হারতে হারতে নিচের দিকে আছি। আজ র্যাঙ্কিং ১৮৪-তে এসেছে। এখান থেকে দলকে ওপরে উঠানো কঠিন। মাঠের খেলা টেবিলে চলে এসেছে। সারা দেশে এর চর্চা হলে ঠিকই বিশ্ব মানচিত্র জায়গা করে নেওয়া যেত। ’
এরপরই তার কথা, ‘গত ১৬ বছর ফুটবলকে জাগতে দেওয়া হয়নি। আমি ফুটবল নিয়ে অনেক কাজ করেছি, জেলা ও বিভাগে। প্রচুর খেলোয়াড় উঠে এসেছে। ওই সময় প্রতিকূল অবস্থায় কাজ করেছি। বাফুফে চায়নি আমরা কাজ করি। ১৮ কোটি দেশের লোক সীমানা পার হতে পারি না, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না। ’
নিজের কথা বলতে গিয়ে এই সংগঠক বলেছেন, ‘২০২০ সালে প্যানেল তৈরি করে এগোলাম। দেশেও থাকতে পারলাম না। অনেক ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায়িক দিক দিয়ে। এজেন্সি দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। সাইফ স্পোর্টিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ’
ফুটবলে সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে পারলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে তৃণমূল পর্যায়ে শুরু করব। ফুটবলকে এসি রুমে রাখব না। বিকেন্দ্রীকরণ করব। নতুন করে জাগরণ তৈরি করব। চার বছরে কী করব, সেটাও বলবো। ’
আজকের অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক, সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বিরসহ আরো অনেকে। মঞ্চে না থাকলেও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, ডাকসুর সাবেক নেতা খায়রুল কবির খোকন এছাড়া বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা, সাবেক খেলোয়াড়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
এআর