দেশের ফুটবলে বইছে বদলের হাওয়া। ধীরে ধীরে ফিরছে হারানো জনপ্রিয়তা, মাঠমুখী হচ্ছেন দর্শকরা।
এই দুই ম্যাচ ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ তুঙ্গে। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানালেন, দেশের ফুটবলে এই বদলে যাওয়া চিত্রটা দারুণভাবে উপভোগ করছেন তিনি।
৪ জুনের ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচটি সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবেও দেখছেন জামাল। তবে দুই ম্যাচকেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। জামাল বলেন, ‘১০ তারিখ আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে কালকের ম্যাচটাও ভুটানের বিপক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা আমাদের সেরাটা দেব। ’
প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর থাকলেও আপাতত ভুটান ম্যাচেই মনোযোগ জামালের। দলের সেরা তারকা হিসেবে জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না তিনি, ‘আমাদের মূল ফোকাস হচ্ছে কালকের ম্যাচ। জিততেই হবে। ’
বাংলাদেশের সর্বশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বেঞ্চে ছিলেন জামাল। যদিও আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন, তবে মাঠে ছিলেন না কোচের পরিকল্পনায়। ভুটানের বিপক্ষে একাদশে থাকা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কিনা — এমন প্রশ্নে জামাল বলেন, ‘এগুলো আমার হাতে নেই। এটা কোচের সিদ্ধান্ত। ’
ভুটানের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে এক ম্যাচে জয়, অন্যটিতে পরাজয় এবং এক ম্যাচে ড্র করে বাংলাদেশ। তবে তখন পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। দলের অনেক খেলোয়াড়ই ম্যাচ ফিটনেসে ছিলেন না। এবার চিত্র পাল্টেছে। জামাল বললেন, ‘শেষবার যখন আমরা ভুটানের বিপক্ষে খেলি, তখন আমাদের অনেক খেলোয়াড় ৩-৪ মাস ধরে খেলার মধ্যে ছিল না। এবার লিগ শেষ হয়েছে, সবাই খেলার মধ্যেই আছে। এখন চিত্রটা একদম ভিন্ন। ’
২০১৩ সালে প্রথম প্রবাসী হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। এখন সেই সংখ্যা বাড়ছে, যা ইতিবাচক বলেই মনে করেন তিনি, ‘আমি খুব খুশি। আমার পর তারেক যোগ দিয়েছিল। তখন ভাবিনি সংখ্যাটা বাড়বে। এখন দেখি, আরও অনেকেই যোগ দিচ্ছে। আমি মনে করি, এটা দেশের জন্য ভালো। ফ্রান্সকে দেখুন, তাদের অনেক খেলোয়াড় বাইরের। তারাই তো বিশ্বকাপ জিতেছে। আমি একই রকম কিছু আমাদের দেশেও দেখছি। ’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বিস্মিত হন জামাল। পকেট থেকে মোবাইল বের করে ছবি বা ভিডিও তোলেন। পরে জানতে চাওয়া হয়, এত সাংবাদিক কি এর আগে দেখেছেন? জামালের উত্তর, ‘আজ প্রথম এত সাংবাদিককে দেখলাম। তবে কষ্ট লাগছে, আপনারা মাটিতে বসে আছেন। ’
চেয়ার কম থাকায় ২০ জনেরও বেশি সাংবাদিক ফ্লোরে বসে ছিলেন। যেখানে বাফুফে পেশাদারিত্ব আর আধুনিকতার কথা বলে, বাস্তবে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। হাইভোল্টেজ ম্যাচ সামনে, অথচ বাফুফের ব্যবস্থাপনায় তার প্রতিফলন ছিল না। সাংবাদিকদের উপচে পড়া ভিড় আগে থেকেই অনুমেয় ছিল, তবে প্রস্তুতিটা যেন ছিল না তেমন।
এআর/আরইউ